টক-ঝাল-মিষ্টিসহ ৪৮ রকম বাহারি চা পাওয়া যাচ্ছে নরসিংদীর মাধবদীতে। মাধবদী পৌরসভার পাশেই চায়ের দোকানটি বাদশা ভাইয়ের চায়ের দোকান নামে পরিচিত। বাহারি রঙের চায়ের স্বাদ পেতে প্রতিদিনই এখানে ভিড় করছেন চা প্রেমীরা।
শীতকাল কিংবা গ্রীষ্মকাল সবসময়ই জমজমাট থাকে আমাদের চারপাশের চায়ের দোকানগুলো। আর সেখানে যদি হয় ৪৮ রকমের চা, তাহলে তো কোন কথাই নেই। এরকমই একটি দোকান নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার পাশের বাদশা মিয়ার চায়ের দোকানটি।
যেখানে সিলেটি রঙ চা, গ্রীন চা, মালাই চা, কামরাঙ্গা ঝাল চা, আলু বোখরার চা, মরিচ চা, কমলা সুন্দরী চা, কালোজিড়া চা, তুলসি চা, অস্থির দুধ চা, ত্রিফলা চা, সোলেমানী চা, খান্দানী চা, ইন্ডিয়ান মালাই চা, কফি, ক্যাপাচিনিও কফি, বাদাম চা, জলপাই চা, তেতুল চা, স্ট্রবেরি চা, কাশমেরী গোলাপী চা, ইরানী জাফরান দুধ চা ও কাঁচা আমের ঝাল চাসহ ৪৮ ধরনের চা বানানো হয়। আর চায়ের স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে এসে ভিড় করছেন চা প্রেমীরা। বাহারি স্বাদের এসব চা পান করতে হলে গুনতে হবে ১৫ থেকে ৫০টাকা।
ব্যতিক্রম এই চায়ের দোকানটির উদ্যোক্তা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদনান ইভান। রাজধানীর এয়ারপোর্ট এলাকায় বাদশা মিয়ার চায়ের দোকানে চা পান করে শখের বশে বছর খানেক আগে নিজ এলাকায় চালু করেন এই চায়ের দোকান। তার সাথে পরিচালনা করছেন ৮ বছর ধরে বাদশা মিয়ার চায়ের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করা মো. হাসান মিয়া। চায়ের স্বাদের ভিন্নতার কারণেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চা প্রেমিরা ভীড় করছেন বলে দাবী দোকানের স্বত্বাধিকারীর।
দোকানের স্বত্বাধিকারী আদনান ইভান বলেন, এই দোকানটা আমার পড়াশোনার পাশাপাশি শখের বশে করা। আমার দোকানে আগে ৪৮ প্রকারের চা থাকলেও বর্তমানে নতুন কিছু আইটেম যোগ করে প্রায় ৫৫ রকমের চা বিক্রি হয়।
স্বল্প দামে মানুষকে ভালো জিনিস দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
বাহারি স্বাদের এসব চা বিক্রি হয় প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১১ রাত পর্যন্ত। প্রতিদিন বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার চা।