চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

৪৫ টাকায় নেমে এসেছে পেঁয়াজের কেজি

নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এবং ভারত রপ্তানি বন্ধের আদেশ তুলে নেয়ায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় দাম আরো কমে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের কেজি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৬০ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, মালিবাগ ও হাতিরপুলসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে পাড়া-মহল্লার ভেতরে ছোট ছোট বাজার এবং দোকানে এই দামের চেয়ে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব স্থানে পেঁয়াজের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী ১৫ মার্চ ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। তখন দাম আরও কমে যাবে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এর প্রভাবও পড়বে বাজারে।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা (এগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ও মিয়ানমারের ভাল মানের পেঁয়াজ)। আর মোটামুটি ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ (নতুন পেঁয়াজ) বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে। এক সপ্তাহ আগে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুতে বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কমেছে। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক দেশি পেঁয়াজের থেকে বেশি। ভালো মানের আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আর বড় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা (মিশরীয় ও চায়না)।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজ মানুষকে অনেক ভুগিয়েছে। এখন ভোগান্তির শেষ হচ্ছে। কারণ ভারত রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর থেকেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে যে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১শ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন তা বিক্রি করছি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। ১৫ তারিখের পর ভারতের পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরও কমে যাবে।

হাতিরপুলের ব্যবসায়ী সোহেল হোসেন বলেন, প্রতিদিনই কমছে পেঁয়াজের দাম। আগামী সপ্তাহে হয়তো ৪০ টাকার নিচে নামবে।

তবে তেজকুনি পাড়ার মহল্লায় ৬০ টাকা দরে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে। এই এলাকার সবজি ব্যবসায়ী আলম বলেন, আমাদের আগের কেনা। দাম বেশি ছিল তখন। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনের দামও কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে আমদানি করা রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ সপ্তাহে ভারত রপ্তানি বন্ধ করলে বাংলাদেশে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের। ধাপে ধাপে দাম বেড়ে কেজি ২৫০ টাকা গিয়ে ঠেকে। এরপর সরকারের নানামুখী তৎপরতায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও তা আর ১শ টাকার নিচে নামেনি। দীর্ঘ ৫ মাসেরও বেশি সময় মসলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম ছিল ১শ টাকার ওপরে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত, যা কার্যকর হবে আগামী ১৫ মার্চ থেকে। ভারতের এই ঘোষণার পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে পেঁয়াজের দাম। চলতি মাসেই ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রায় ৮০ টাকা।