‘সেনানিবাস আইন, ২০১৬’ আইনের খসড়ায় সেনানিবাসের মধ্যে কোন অন্যায় করলে তার জরিমানা বাড়ানো হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
খসড়ায় মাতলামি, ভিক্ষাবৃত্তি ও প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করে উপদ্রব তৈরি করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কেউ প্রকাশ্যে মাংস বহন করলে এবং বিকলাঙ্গতা দেখালেও সমান শাস্তি হবে। আর দালান নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সেনানিবাস আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
নতুন আইন অনুসারে, সেনানিবাস এলাকার ভেতর আতশবাজি বা আগ্নেয়য়াস্ত্র বহন করলে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে এলাকায় বসতবাড়ি জরাজীর্ণ থাকলে ১৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে সেনানিবাস আইনে।
আইনের খসড়ায় ৪৩টি অপরাধের জরিমানা বাড়ানো হয়েছে। আগের আইনে সেনানিবাসের ভেতর ট্রাফিক আইন ভাঙ্গলে সর্বোচ্চ জরিমানা ছিলে ৫০ টাকা। এখন সেটি হয়েছে ২ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা।
নতুন খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদনের মধ্য দিয়ে ৯৩ বছরের পুরনো ‘সেনানিবাস আইন’ কিছুটা সংশোধন ও পরিমার্জনের ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেল। পুরনো আইনে থাকা ২৯২টি ধারা বাদ দিয়ে নতুন আইনে ২১৮টি ধারা করা হয়েছে। এতদিন ১৯২৪ সালের ক্যান্টনমেন্ট অ্যাক্ট-এর মাধ্যমে দেশের সেনানিবাসগুলো পরিচালিত হয়ে আসছিল।
এছাড়া সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সান মারিনোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।