দেশে বর্তমানে ৩৯ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন: নতুন প্রজন্মের এই শিক্ষার্থীদের হাতেই সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
বৃহস্পতিবার দুপরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থীদের ‘প্রবেশিকা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন: বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীকে চিন্তা করতে এবং নতুন জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশ করতে শিক্ষা দেয়। নবাগত শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন জ্ঞানের রাজ্যে মনোযোগ সহকারে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য সবাইকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য এতে বৃদ্ধি পাবে।
উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব বুঝাতে তিনি বলেন: বিশ্ববিদ্যালয় যদি একদিন বন্ধ থাকে তাহলে একটি রাষ্ট্র থমকে দাড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর মাদক, জঙ্গিবাদের নেশায় পড়ে অনেক শিক্ষার্থী বিপথে চলে যায়। শিক্ষার্থীদের সৎ, বিবেকবান মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের শেষে তিনি নিজের পরিবার, দেশ, সমাজ এবং রাষ্ট্রের মেহনতি মানুষের কথা চিন্তা করে শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে দূরে থাকার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি র্যাগিং এবং মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন: বিশ্ববিদ্যালয়ে মনের মুক্তির জন্য ভিত্তি তৈরি হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এই ভিত্তি শক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে।
উপাচার্য তার ভাষণে আবাসন সমস্যা দূর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রকল্পের তথ্যসমূহ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি ড. জেবউন নেছার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ফিরোজ-উল- হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিন ও ইন্সটিটিউটের পরিচালকের নিকট উপস্থাপন করেন। সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন ও ইন্সটিটিউটের পরিচালকগণ নবাগত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য বরণ করে নেন।