শুরু এবং শেষের উইকেট নিলেন আবু জায়েদ রাহি। ইনিংসে তিন উইকেট। অ্যান্টিগায় টেস্ট অভিষেক খারাপ হয়নি এ ডানহাতি পেসারের। তবে দলের অবস্থা বিবেচনায় সেটি নিয়ে মাতামাতি করার সুযোগ কমই। বাংলাদেশকে ৩৬৩ রানের বোঝা চাপিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সফরকারীদের করা ৪৩ রানের জবাবে স্বাগতিক দল প্রথম ইনিংসে করেছে ৪০৬ রান। ইনিংস হার এড়ানোর চ্যালেঞ্জ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিন ওয়েসট ইন্ডিজ তুলেছিল ২ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান। দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা যোগ করেছে আরও ২০৫ রান।
মেহেদী হাসান মিরাজ তিনটি, সাকিব আল হাসান দুটি, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
আগের দিন ৮৮ রানে অপরাজিত থাকা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট থামেন ১২১ করে। লাঞ্চ বিরতির পর উইকেটে এসেই সাজঘরে ফেরেন এ ওপেনার। এরপর আসে আরও দুই সাফল্য। একপ্রান্তে সাকিব আল হাসান অন্যপ্রান্তে মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই স্পিনার মিলে দ্রুতই তুলে নেন আরও ২ উইকেট।
৩ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়া দলের স্কোর বিরতির পরপরই হয়ে যায় ৬ উইকেটে ২৮৮। ১৬ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ ৩ উইকেট তুলে নিয়ে চা-বিরতির আগেই দশ উইকেট তুলে নেয়ার আশা জাগায় স্পিনাররা। তবে সপ্তম উইকেটে ক্যারিবীয়দের ৫০ রানের জুটি অপেক্ষা বাড়ায়।
মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৩৩ করা জেসন হোল্ডার সাজঘরে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। পরের জুটিটি হয় আরও বড়। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসিয়ে দেয়া কেমার রোচের সঙ্গে হোপ গড়েন ৫৬ রানের আরেকটি বড় জুটি।
৫১ রানে জীবন পাওয়া এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন ৬৭ রান করে। রাহির বাউন্সারে গালি অঞ্চলে হোপের সহজ ক্যাচ ছাড়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
রাহির তৃতীয় শিকার হয়ে গ্যাব্রিয়েল সাজঘরে ফিরলে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।