চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

৩২ ফাউল আর দুই লাল কার্ডের ম্যাচে ব্রাজিলের অপরাজিত রেকর্ড

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব

ফাউলের ছড়াছড়ি, দুই লাল কার্ড, ছয় হলুদ কার্ড এবং ভিএআরের আধিপত্য দেখলো ব্রাজিল এবং ইকুয়েডরের ম্যাচ। ঘটনাবহুল ম্যাচটির ফলাফলের চেয়েও আলোচিত, কারণ মাঠে ঘটেছে একের পর এক কাণ্ড।

বৃহস্পতিবার রাতে ইকুয়েডরের রাজধানী কিটোয় হওয়া ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। এই ড্রয়ের ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করল ব্রাজিল। এর আগে ১৯৫৪ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সময়ে সেলেসাওরা রেকর্ডটি গড়েছিল।

লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে সবার আগে কাতার বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়া ব্রাজিল ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে। ১৫ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ইকুয়েডর।

মোট ৩২ ফাউলের খেলার প্রথম মিনিটেই মোজেস কাইকেডোকে বাজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার এমারসন।

ষষ্ঠ মিনিটে কর্নার কিক থেকে ফিলিপে কৌতিনহোর নেয়া কর্নার কিকে হেডে গোল করে ব্রাজিলকে লিড এনে দেন কাসেমিরো।

১৫ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ম্যাথিউস কুনহাকে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক অ্যালেক্সান্ডের ডমিনগুয়েজ। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে কলম্বিয়ার রেফারি উইলমার রোল্ডান তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান।

পাঁচ মিনিট পর বাজে ফাউল করায় এমারসন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দুই দলই দশজনে পরিণত হয়।

২৬ মিনিটে পরের লাল কার্ডটি দেখেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার, কিন্তু ভিএআরে সিদ্ধান্ত পাল্টে হলুদ কার্ড দেখে অ্যালিসন পার পেয়ে যান। ডি-বক্স থেকে বের হয়ে বল বিপদমুক্ত করার জন্য শট নেন অ্যালিসন। কিন্তু তার পা এনার ভ্যালেন্সিয়ার মাথায় লাগায় রেফারি কার্ড দেখান।

বিরতির পর ৫৫ মিনিটে ব্রাজিলের ডি-বক্সে রাফিনহার চ্যালেঞ্জে ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পেরভিস এস্তুপিনান পড়ে গেলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। তবে ভিএআরে দেখে তার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়।

৭৫ মিনিটের মাথায় গঞ্জালো প্লাতার কর্নার কিকে হেডে লক্ষ্যভেদ করে ফেলিক্স তরেস ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান।

ফাউলে ভরা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে যোগ করা সময় নির্ধারিত ছিল ৫ মিনিট। তবে সেটি বহু নাটকীয়তায় ১২ মিনিটে গিয়ে ঠেকে! বল পাঞ্চ কোর্টে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে অ্যাঞ্জেলো প্রেসিয়াদোর মুখে আঘাত করে আবারো লাল কার্ড দেখেন অ্যালিসন। এ সময় ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ভিএআর দেখতে বাধ্য হন রেফারি। মনিটরে দেখা যায় অ্যালিসন আগে বলে পাঞ্চ করেছিলেন। ফলে লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত বদলে যায়।