ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ ভ্যাকসিন আজ রাতে (৩০ মে) দেশে আসার কথা থাকলেও আগামীকাল (৩১ মে) রাত সাড়ে ১১টায় দেশে আসবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আজ রোববার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে এক পর্যালোচনা সভা শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন।
রাশিয়ার ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, আমরা চিঠি লিখেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন, কিছু তথ্য দিয়েছে। আমরা পর্যালোচনা করে তাদের রিপ্লাই দেবো। তারপর সিদ্ধান্ত হবে। দাম এখনও ঠিক করে পাঠানো হয়নি। এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা পাঠাবো।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তারা দেবে না, এটা বলেনি। এখনও বলছে দেবো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রমতে, এ পর্যন্ত দেশে ভ্যাকসিন এসেছে সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৭০ লাখ ডোজ। একই প্রতিষ্ঠানে তৈরি একই ভ্যাকসিনের আরো ৩২ লাখ ডোজ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে চীন সরকারের পক্ষ থেকে উপহার পাওয়া গেছে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, দেশে গতকাল শনিবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ (অক্সফোর্ডের) দেওয়া হয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪১ লাখ ৪২ হাজার ২৫৫ জন। এছাড়া গতকাল পর্যন্ত চীনের সিনোফার্মের প্রথম ডোজ নিয়েছেন এক হাজার ২৩৯ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৯ ডোজ। এখন ভ্যাকসিন হাতে আছে অক্সফোর্ড ও সিনোফার্মেরসহ মোট সাত লাখ ৩৫ হাজার ডোজের মতো।