পিছিয়ে থেকেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ড্র করেছে আর্সেনাল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে রেড ডেভিল-গানারদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি ১-১ গোলে শেষ হয়।
এই ড্র’র ফলে পেছাতে পেছাতে পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বরে চলে গেছে ম্যানইউ। প্রিমিয়ার লিগে গত ৩০ বছরে সবচেয়ে খারাপ শুরু ম্যানইউর৷ ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে সাত ম্যাচ শেষে ১৩তম স্থানে ছিল ‘রেড ডেভিল’রা।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলে। তবে অগোছালো ফুটবলে প্রতিটি আক্রমণের শেষ হয় দৃষ্টিকটুভাবে। ম্যাচের প্রথম আধাঘণ্টার মধ্যে ভালো সুযোগ হাতছাড়া করে ম্যানইউ। ২৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দু’জনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরাল শট নিয়েছিলেন পেরেইরা। কিন্তু তা ঝাঁপিয়ে আটকে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক বার্নড লেনো।
বিরতির ঠিক আগে চরম উত্তেজনায় পৌঁছায় ম্যাচ। প্রতি-আক্রমণে মার্কাস র্যাশফোর্ড ডি-বক্সে ঢুকে শট নিলেও তা ব্যর্থ হয়। এর মিনিট দু’য়েক পর আর্সেনালের দু’টি চেষ্টা রুখে দেন ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া।
পরে ম্যানইউর গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। বিরতির ঠিক আগে, ৪৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ম্যাকটমিন। বাইলাইন থেকে র্যাশফোর্ডের পাসে বল পেয়ে বুলেট গতিতে তা আর্সেনালের জালে জড়িয়ে দেন ম্যাকটমিন। ০-১ পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণের মধ্যেই পিয়ের এমেরিক অবামেয়াংয়ের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় আর্সেনাল। তবে ৫৮ মিনিটে আর্সেনালের গোলটি ছিল ঘটনাবহুল। ডি-বক্সে বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান অবামেয়াং। কিন্তু অফসাইডের পতাকা তুলে ধরেন লাইন্সম্যান। ভিএআরের সাহায্যে পরে রেফারি গোলের বাঁশি বাজালে উল্লাসে ফেটে পড়ে আর্সেনাল সমর্থকরা।
তার মিনিট পাঁচেক পর আবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ম্যানইউ। কিন্তু পল পগবার জোরাল শট পোস্টের গা-ঘেঁষে চলে যায়। এছাড়া ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পেয়েছিল ম্যানইউ। সেটিও কাজে লাগাতে পারেনি।
এই ড্রয়ে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এল উনাই এমেরির আর্সেনাল। আর ৯ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে রয়েছে ম্যানইউ। সাত ম্যাচের সবকটিতে জিতে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে লিভারপুল। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে লেস্টার সিটি।