চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

৩০ দিনের মধ্যে ওষুধ রপ্তানি প্রক্রিয়া সম্পন্নের প্রতিশ্রুতি

বিদেশে ওষুধ রপ্তানির প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে রপ্তানি প্রক্রিয়ার সময় ৩০ দিনের মধ্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ওষুধ শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান আরো উপরে আনতে সরকারের এ সিদ্ধান্ত মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

দেশের ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো দেশীয় বাজারের ৯৭ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে বিশ্বের ১শ’টির বেশি দেশে রপ্তানি করছে। সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় এখন অর্জিত হচ্ছে এ খাত থেকে। ওষুধ শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনার নানা দিক নিয়ে মতবিনিময়ে উঠে আসে এ খাতে রপ্তানি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দূর করার সুপারিশ।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, মোড়ক উম্মোচনেই যদি আমাদের ৫-১০ দিন চলে যায় তাহলেতো একমাসও হাতে থাকলো না।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মে. জে. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা চাই আইনের মধ্যেই কাজটা হোক। এটাকে শর্টকাটে কিভাবে করা যায় সেই প্রচেষ্টা আমাদের রয়েছে।

রপ্তানি প্রক্রিয়ার ৭৫ দিন সময় কমিয়ে ৩০ দিনে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন সংশ্লিষ্টরা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, র’ ম্যাটারিয়ালসের আবেদন থেকে শুরু করে  ডিজি পর্যায়ে এপ্রোভাল হওয়া পর্যন্ত ৭০-৭৫ দিন, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে তিন মাসেরও বেশি সময়ের টোটাল যে টাইম উনারা হিসাব করে বলেছেন তা কমিয়ে ত্রিশ দিনের মধ্যে করবো। ওইটুকু ক্যাপাসিটি আমার আছে।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির উপদেষ্টা আব্দুল মুক্তাদির বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে যখনই আমরা রেগুলেটেড মার্কেটে যাবো তখনই আমাদের বিক্রি বেড়ে যাবে।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ বিভিন্ন বাধা দূর করতে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান উদ্যোক্তারা। ওষুধ রপ্তানিতে যুগান্তকারী সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তারা।