আন্দামান সাগরে ভাসমান একটি নৌকাকে মেরামত করে, যাত্রীদের খাদ্য ও পানীয় দিয়ে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে থাইল্যান্ড। নৌকাটিতে মিয়ানমারের প্রায় সাড়ে ৩শ অভিবাসী ছিলো। এর আগে বুধবার ইন্দোনেশিয়াও একইভাবে ১০০ অভিবাসীকে সাগরে ফেরত পাঠায়। যার মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়,অনেকে মূত্রপান করে বেঁচে থাকে।
আরো কয়েক হাজার মানুষ মানবপাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার উপকূলে ভাসছে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম। গত কয়েক সপ্তাহে থাইল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জঙ্গলে অভিবাসীদের গণকবর উদ্ধার এবং ওইসব এলাকায় অবৈধ অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি হাজারো অবৈধ অভিবাসী সাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া উপকূলে ভিড়তে থাকে।
মানবপাচারকারীরা তাদের ভুল তথ্য দিয়ে ওই রুটে সাগর পাড়ি দিতে উদ্বুদ্ধ করে। এ পরিস্থিতিতে বিপদগ্রস্ত অভিবাসীদের উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে দেশ দু’টি সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের খাবার ও পানি দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে।
দেশের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। আইএমও বলছে, মানব পাচারকারীরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বহনকারী ট্রলারগুলো সমুদ্রে রেখেই পালিয়ে গেছে।কেবল পুরুষ নয়; ওইসব ট্রলারে নারী এবং শিশুরাও খাবার ও পানি ছাড়া মানবেতর দিন যাপন করছে। মানবপাচারকারী গ্রুপগুলো কোনো দেশে তাদের পাচার করতে না পেরে ট্রলারে করে অভিবাসীদের সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়ে পালিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি থাইল্যান্ডকেও তাদের সমুদ্র সীমানা উন্মুক্ত করে বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধার করার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।