বাংলাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও টিভি ব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন চন্দন চৌধুরী। নির্মাণ করেছেন দর্শকপ্রিয় বেশকিছু নাটক। ২০০৮ সালে তিনি নির্মাণ করেন নিজের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কি যাদু করিলা’। একেবারে রোমান্টিক ধাঁচের এই ছবিটি দর্শকপ্রিয়তা পেলেও প্রযোজকের লগ্নিকৃত অর্থ উঠিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়।
সেই সময়ে ‘কি যাদু করিলা’ নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিলো ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ছবিটি সব মিলিয়ে ১ কোটি টাকা তুলতে পারে। সম্প্রতি চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘তিনশো সেকেন্ড’ এর একটি পর্বে এসেছিলেন নির্মাতা চন্দন চৌধুরী। উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি প্রশ্নে নিজের প্রথম সিনেমা নিয়ে এমন তথ্যই দেন এই নির্মাতা।
শুধু প্রথম সিনেমা নয়, নিজের নির্মিত দ্বিতীয় সিনেমাটিও লগ্নিকৃত অর্থ তুলতে ব্যর্থ হয় বলে জানান চন্দন। তিনি জানান, ‘কি যাদু করিলা’র পর একই প্রযোজকের অর্থে ২০০৯ সালে নির্মাণ করেন দ্বিতীয় ছবি ‘ভালোবেসে বউ আনবো’। রোমান্টিক ধাঁচের এই ছবিটিও বক্স অফিসে হিট করতে পারেনি।
নির্মাতা জানান, রিয়াজ-শাবনূর ও সাহারা অভিনীত এই ছবিটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। তবে সব মিলিয়ে প্রযোজক হাতে পান ৯০ লাখ টাকা। ‘কি যাদু করিলা’র মতো এই ছবিতে ২০ লাখ টাকা লোকসান হয়।
পর পর দুই ছবিতে মোট ৫০ লাখ টাকা লোকসান করায় দীর্ঘদিন আর সিনেমা নির্মাণ করেননি চন্দন চৌধুরী। রিয়াজ-পপি-হুমায়ুন ফরীদি এবং মীর সাব্বিরদের মতো তারকা মুখ ‘কি যাদু করিলা’য় থাকার পরেও কী কারণে লোকসান গুনতে হলো? এমন প্রশ্নে চন্দন জানান, স্ট্র্যাটেজির কারণে। কারণ ২০০৮ সালের ঈদে ছবিটি মুক্তি পায়। আর সেই সময়ে এই ছবির সাথে আরো ছয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিলো। যে ছবিগুলো ছিলো একেবারে কমার্শিয়াল লেভেলের মশল্লাদ্বার সিনেমা! সেগুলোর সাথে রোমান্টিক ধাঁচের গল্পে নির্মিত ‘কি যাদু করিলা’ মুক্তি পেয়েছিলো মাত্র ২০টি প্রেক্ষাগৃহে।
তবে এতে আফসোস নেই নির্মাতার। জানালেন, ছবিটি লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত আনতে না পারলেও প্রযোজককে বিশেষ মর্যাদা দিতে পেরেছিলেন তিনি। কারণ ‘কি যাদু করিলা’ ছবিটি ২০০৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সহ মোট পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।
কথা প্রসঙ্গে জানালেন, বহুদিন পর আবারও সিনেমা নির্মাণ করছেন চন্দন চৌধুরী। শাপলা মিডিয়ার একশো সিনেমা নির্মাণের প্রজেক্টে তিনি ‘লেখক’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। ছবিটির গল্প সম্পর্কে চন্দন জানান, একজন লেখকের জীবন নিয়ে আমার নতুন ছবি। যিনি কোনো কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।