আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে একটি মহল অস্থিরতা ও সন্ত্রাসের ডাক দিচ্ছে। এই অপশক্তিকে বধ করতে হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচির পরিণতি ও আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার কথাও জানা তিনি।
তিনি আজ বিকেলে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
মন্দির প্রাঙ্গনে এক বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে সব সময়ই আছে আওয়ামী লীগ সরকার। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মনিটরিং করছেন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে ব্রিফ করেছেন। আগের অশুভ ঘটনাগুলো হিন্দুদের কষ্ট দিয়েছে। এ অপকর্মের পুনরাবৃত্তি চাই না। আশা করি দশমী পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থির, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। আমাদের দেশে রাজনীতিতে যখন অবরোধ শব্দ শুনি, তখন জনগণ আতঙ্কিত। এই অবরোধ কেমন তা জনগণ ২০১৪ সালে দেখেছে। ২০০১ সালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্যাতিত হয়েছে।
অওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই নির্বাচনের মাধ্যমে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন গাইড করবে। একটা দল কর্মীদের বলছে, মাত্র কযেকটা দিন, আর অপেক্ষা নয়। এর হাক ডাক শুরু হয়েছে। মহাযাত্রার মহারণ শুরু। কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। সেই কর্মীরা যখন দেখবে ২৮ অক্টোবরের পরিণতি ১০ ডিসেম্বরের মতো অশ্বডিম্ব হবে। তখন বিএনপি নেতাদের কাঠগড়ায় দাড় করাবে সেই কর্মীরাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ তারিখ আমাদেরও কর্মসূচি আছে, এদিন মহাযাত্রা আমাদেরও আছে। চ্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের মহাযাত্রা শুরু হবে। বিকেলে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জনতার ঢল নামবে।
বিএনপির প্রতি ওবায়দুল কাদেরে প্রশ্ন, কয়দিন সময় দেবেন? বলে দিচ্ছি, আমাদের সময় নেই। ৪ তারিখে ঢাকায় স্মরণ কালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। মেট্রোরেলের উদ্বোধনে দাওয়াত দিচ্ছি। কোন মেগা প্রকল্পতো আপনারা করেননি। চুরি করেছেন। দেশের সম্পদ লুট করেছেন, অর্থ পাচার করেছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, অস্থিরতার ডাক দিচ্ছে অশুভ শক্তি, এদের বধ করতে হবে। রাজনীতির অশুভ শক্তিকেও বধ করতে হবে। উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, ২০০১ যাতে আর না হয় সেজন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোন নেতা আপনজন নেই সংখ্যালঘুদের। আমরা আপনাদের পাশে আছি, থাকবো।ছিলাম।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লপ বড়ুয়া, সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জেএল ভৌমিক ও মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনন্দ্রী কুমার নাথ।