চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পঁচিশ বছর পরেও আলোচনার শীর্ষে ম্যাডোনার ‘সেক্স’

কেবল একজন গায়িকা হিসেবেই নয়, প্রগতিশীল মানুষ হিসেবেও বিশ্বে খ্যাতির চূড়ায় অবস্থান করছেন ম্যাডোনা। তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে গানের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন অনেক সাহসী কাজেও। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচনার শীর্ষে তার লেখা প্রথম বই ‘সেক্স’। মাত্র একটি বই লিখেই সারা বিশ্ব তোলপাড় করে দিয়েছিলেন পপ সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা। বইটি প্রকাশের পর পেড়িয়ে গেছে ২৫ বছর। অথচ এটাকেই এখন পর্যন্ত সঙ্গীত দুনিয়ার সবচেয়ে প্রগতিশীল ও সাহসী কাজ হিসেবে ধরা হয়।

সেক্স শব্দটির শুনলে উত্তেজক কিছু মনে হলেও, ম্যাডোনার বইটি ছিল ব্যতিক্রম। বইটিতে ছিল যৌনতার শৈল্পিক বর্ণনা। সেক্স বইটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর। আর প্রকাশের সাথে সাথেই বিক্রির ঢল নেমে যায়। নিউইয়র্কের বইয়ের দোকানগুলো রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিল ক্রেতাদের চাপে। প্রথম দিনেই বিক্রি হয় দেড় লাখ কপি। মজার ব্যাপার হল, এর ঠিক একদিন আগেই মুক্তি পায় ম্যাডোনার ‘ইরোটিকা’ অ্যালবাম।

নেহাতই যৌন আনন্দ নয়, বইটি হয়ে উঠেছিল প্রতিবাদের ভাষা। যদিও এমন একটি বই প্রকাশ করা তখন মোটেও সহজ ছিল না। ছিল ধর্মীয় অনুশাসন আর বাঁধা। অধিকাংশ সমালোচক মন্তব্য করেছিলেন যে বইটি শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আর তাই বইটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হয়েছিল প্রচুর।

পুরো বইটি জুড়ে যৌনতার ছড়াছড়ি থাকলেও এই বইয়ে ম্যাডোনা তার কাল্পনিক এক প্রেমিকের কাছে অনবদ্য চিঠি লিখেছেন কয়েকটি। যদিও বইয়ের অধিকাংশ ছবি ও লেখাকে তিনি কাল্পনিক বলেই উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেগুলোর সাথে তার আবেগের মিশ্রণ ছিল। এখন পর্যন্ত পপ ইন্ডাস্ট্রিতে ম্যাডোনার মতো প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি আর কেউ। কিংবা এখনো এমন একটি সাহসী বই প্রকাশের সাহসও করেননি কোনো তারকা। অথচ ম্যাডোনা এমন একটি সাহসী কাজ করেছিলেন ২৫ বছর আগে।

এছাড়াও বিখ্যাত ‘প্লেবয়’ এবং ‘পেনথাউজ’ ম্যাগাজিনে ম্যাডোনার সর্বপ্রথম নগ্ন ছবি ছাপানো হয়। সেই সময় তার খ্যাতির সীমানা ছিল আকাশ ছোঁয়া। তাই সম্পাদকদেরও পছন্দের আইটেম ছিলেন ম্যাডোনা। একটি আর্ট স্কুলে ম্যাডোনার এই নগ্ন ফটোশুটগুলো করা হয়েছিল। হাফিংটন পোস্ট।