গান অন্তপ্রাণ চার তরুণের স্বপ্ন ও পরিশ্রমের ফসল ‘প্রায় শূন্য’ ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘প্রার্থনার ময়দানে’ মুক্তি পেয়েছে। ২০ এপ্রিল মুক্তি পাওয়া ব্যান্ড সংগীতের এই অ্যালবামে একটি ইন্সট্রুমেন্টালসহ গান আছে ১০টি। সবগুলো গানের সুর করেছেন ‘প্রায় শূন্য’ ব্যান্ডের গিটারিস্ট রাজু বামাচারী। পাশাপাশি সাতটি গানের কথাও লিখেছেন তিনি। বাকি দুইটি গানের কথা ফয়সাল নোই-এর।
নিজেদের প্রথম অ্যালবাম প্রসঙ্গে রাজু বামাচারী বলেন, ‘১৯৯২ সাল থেকে গান ভালোবেসে পথচলার শুরু। তখন ব্যান্ড সংগীত ছিল সমাজের উচু শ্রেণির দখলে। আমরা একটা অ্যালবাম করব। কিন্তু রেকর্ডিং খরচ নেই। মফস্বল থেকে ঢাকা আসা যাওয়া এতটা সহজ ছিল না। বাধ্য হয়ে গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাই। স্টুডিওতে কাজ শুরু করি। এরপর যখন আমাদের ক্যাসেট করার সামর্থ্য হলো তখন দেখি ক্যাসেটের দিন শেষ। সিডি চলে এসেছে বাজারে। সিডির কাজ শিখতে শুরু করলাম। সিডি প্রকাশের সামর্থ্যে পৌঁছে দেখি মিডিয়া মোড়লরা সেটাকে মোড়কে আটকে দিয়েছে। আমাদের হাতে নেই।
বাধ্য হয়ে নিজেদের শ্রমে নুন্যতম খরচে অ্যালবামটা করার চেষ্টা করি। ২৫ বছর শব্দের জীবনকে অ্যালবাম আকারে আনতে পেরে এখন নির্ভার লাগছে।’
ব্যান্ডের নাম ‘প্রায় শূন্য’ কেন জানতে চাইলে রাজু বলেন, ‘প্রায় শূন্য হলো মানুষের ফান্ডামেন্টাল মোমেন্ট। একজন মানুষ যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, যতই অর্থবিত্ত থাকুক না কেন মৃত্যুর আগ মুহূর্তে তার কিছুই কাজে আসে না। সবাই প্রায় শূন্য। সেই সময়টাকেই মনসপটে ধরের রাখার চেষ্টায় আমাদের ব্যান্ড প্রায় শূন্য।’
তিনি বলেন, আমাদের জীবনে প্রায়ই বর্বতার সম্মুখে পড়ে এমন অবস্থা হয় যে প্রার্থনা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। আর তাই সকল বর্বরতার বিরুদ্ধে আমরা ‘প্রায় শূন্য’ আমাদের প্রার্থনা আলোকিত হোক আপন বিবেক মন।
অ্যালবামটি ধাক্কা খেয়ে আত্মায় কষ্ট পাওয়া গানের জগতে নতুনদের সুন্দর পৃথিবীর পথ দেখাবে বলে জানান রাজু বামাচারি।
প্রায় শূন্য ব্যান্ডে আরও আছেন বেজ গিটারে জাবেদ, ভোকালে মনজুর, ড্রামসে কামরান।