চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: ২৩ অক্টোবর থেকে যুক্তিতর্ক

নৃশংস, চাঞ্চল্যকর ও ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২৩ অক্টোবর থেকে যুক্তিতর্ক পেশ করা হবে।যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম জঘন্য বর্বরোচিত নৃশংস চাঞ্চল্যকর ও ভয়বাহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে রায়ের তারিখ ধার্য হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বার্তা সংস্থা বাসস’কে জানিয়েছেন, আগামী ২৩, ২৪, ২৫ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম জঘন্য বর্বরোচিত নৃশংস চাঞ্চল্যকর ও ভয়বাহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে রায়ের তারিখ ধার্য হবে।

তিনি বলেন, গত ৩০ মে এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২৫ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর আসামীপক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়ে গত ১১ অক্টোবর শেষ হয়।

ঢাকার-১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। স্পর্শকাতর ও আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সিআইডির জ্যেষ্ঠ বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দসহ রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এরপর আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য পেশ ও আসামীপক্ষে সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়।

বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২৪ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক লোক আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।

তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান। এতে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচন্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

এ ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পুলিশের তদন্তের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। পরে মামলাটি যায় সিআইডিতে।

২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৯ সালের ৩ অগাস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে।

মামলাটি তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।