চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: দণ্ডপ্রাপ্তদের জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীসহ দন্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামীদের করা ৫০টি জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদেশ দেন।

এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ।

এর আগে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়সহ মোট ৩৭ হাজার তিনশ ৮৫ পৃষ্ঠার নথি গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছায়।

আর গত ১০ অক্টোবর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়।

সে রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ওই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন:
১. লুৎফুজ্জামান বাবর, ২. মো. আব্দুস সালাম পিন্টু, ৩. মাওলানা মোহাম্মদ তাজউদ্দিন, ৪. মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, ৫. মো. আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, ৬. আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মাদ ওরফে জিএম, ৭. মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, ৮. মহিবুল্লাহ মফিজুর রহমান ওরফে অভি, ৯. মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডাক্তার জাফর, ১০. আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, ১১. মো. জাহাঙ্গীর আলম, ১২. হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, ১৩. হোসাইন আহম্মেদ তামিম, ১৪. মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, ১৫. মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাউফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ, ১৬. মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন, ১৭. মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ১৮. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম এবং ১৯. মো. হানিফ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:
১. তারেক রহমান, ২. হারিছ চৌধুরী, ৩. শাহাদত উল্যাহ ওরফে জুয়েল, ৪. মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে পীর সাহেব, ৫. মাওলানা সাব্বির আহমদ, ৬. আরিফ হাসান ওরফে সুমন, ৭. হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, ৮. আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, ৯. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, ১০. মহিবুল মুত্তাকিন, ১১. আনিসুল মুরছালিন, ১২. মোহাম্মদ খলিল, ১৩. জাহাঙ্গীর আলম বদর, ১৪. মো. ইকবাল, ১৫. লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, ১৬. কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, ১৭. মুফতি শফিকুর রহমান, ১৮. মুফতি আবদুল হাই এবং ১৯. রাতুল আহমেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবু। এছাড়া রায়ে আরো ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রায় গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতা-কর্মী।