চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

২০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ সোনু সুদের বিরুদ্ধে

করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের ত্রাতা হিসেবে পাশে ছিলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য চেয়েছেন, এমন কাউকেই খালি হাতে ফেরাননি তিনি। কিন্তু এবার সেই ‘মহৎ’ মানুষের খেতাব পাওয়া অভিনেতার বিরুদ্ধে উঠল ২০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ!

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে ভারতের আয়কর দফতর। জানিয়েছে, ২০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন অভিনেতা ও তার সহকর্মীরা। গত তিনদিন ধরে সোনু সুদের অফিস এবং বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা।

আয়কর অফিসের দাবি, সোনু সুদের এনজিও বিদেশ থেকে প্রায় ২.১ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। যা সরাসরি ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্টের আইন লঙ্ঘন করে।

এর আগে বুধবার মুম্বাইয়ে সোনু সুদের অফিসে আয়কর অভিযান চালানো হয়। পরদিন তার বাড়িতে চলে তল্লাশি। গত কয়েকদিনে অভিনেতার সঙ্গে যুক্ত মুম্বাই, লখনৌ, কানপুর, জয়পুর, দিল্লি এবং গুরুগ্রামের মোট ২৮টি জায়গায় একযোগে কয়েক ঘণ্টা ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছেন আয়কর অফিসের কর্মকর্তারা। এই তল্লাশি চলাকালীনই অভিনেতার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে আয়কর দফতরের।

আয়কর অফিস জানিয়েছে, যেই রোজগারের হিসেব সোনু সুদ লুকাতে চাইতেন সেটা বেনামী সংস্থাদের থেকে ভুয়ো ঋণ নেওয়ার খাতে দেখানো হত। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই এই ধরনের ২০টি বেনামী লেনদেনের খোঁজ পেয়েছেন, যারা সেই ভুয়া ঋণ দিয়েছেন তারা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন এই জালিয়াতির কথা।

আরও জানিয়েছেন, তারা নগদ টাকার বিনিময়ে চেক ইস্যু করেছেন। এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে অর্জিত টাকা হিসাবের খাতায় ঋণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এইসব ভুয়া ঋণ ব্যবহার করে সম্পত্তি কিনতে বিনিয়োগ পর্যন্ত করা হয়েছে, সেই প্রমাণও মিলেছে।

এছাড়াও দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সাস এর তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৮.৯৪ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে সংগ্রহ করেছে সোনু সুদের সংস্থা। যার মধ্যে কেবলমাত্র ১.৯ কোটি টাকা সমাজসেবার কাজে ব্যয় হয়েছে। বাকি ১৭ কোটি টাকা ফাউন্ডেশনের ব্যাঙ্ক খাতায় পড়ে রয়েছে।

তল্লাশির পর সোনুর অফিস থেকে নগদ ১.৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিনেতার সংস্থার ১১টি লকার পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সিজ করা হয়েছে।