চলতি বছর (২০১৮) শেষ দিকে। নতুন বছর নাকের ডগায়! আসন্ন বছরে অর্থাৎ ‘২০১৯ সালের মধ্যে সারাদেশে ২০টি সিনেপ্লেক্স চালু হবে’ বলে জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় সিনেথিয়েটার স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহেমদ। সোমবার সন্ধ্যায় চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিনেপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে সারাদেশে সবমিলিয়ে ২০টি সিনেপ্লেক্স চলবে।
ইতোমধ্যে স্থান নির্ধারণ ও সিনেপ্লেক্স নির্মাণে প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে উল্লেখ করে স্টার সিনেপ্লেক্সের জৈষ্ঠ এই বিপণন কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরুতেই ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার সংলগ্ন সীমান্ত সম্ভারে তিনটি বিলাসবহুল হল নিয়ে চালু হবে স্টার সিনেপ্লেক্স। আগামী মে মাসে মহাখালীতে সেনা কল্যাণ সংস্থা টাওয়ারে চালু হবে ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’-এর আরেকটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল। সেখানে তিনটি হল থাকবে। আসন হবে ২৫০-৩০০ জন।’
৩১ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে হয়। এরই সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে মাল্টিপ্লেক্স স্থাপনের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। ঢাকার উত্তরা, পূর্বাচল সিটিতে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য জায়গা পেয়েছে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। আগামী বছরেই এর কাজ শুরু হবে জানান মেজবাহ উদ্দিন আহেমদ। ঢাকার আরেক ব্যস্ততম এলাকা মিরপুরেও সিনেপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ। মেজবাহ উদ্দিন আহেমদ বলেন, ‘মিরপুর-২ সেকশনে মাল্টিপ্লেক্স নির্মিত হবে। সঙ্গত কারণে এর বেশি আপাতত কিছুই জানাতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনাসহ দেশের সব গুরুত্ব স্থানেই থাকবে মাল্টিপ্লেক্স। তবে আমরা ২০১৯ সালের মধ্যে ২০টি মাল্টিপ্লেক্স চালু করার কাজে নেমে পড়েছি। দেশে এখনো ভালোভাবে সিনেমার ব্যবসা করা যায়। দরকার শুধু ভালো কনটেন্ট। আমরা সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করছি। আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করে দিচ্ছি। কিন্তু সেখানে চালাবো কী? ভালো ছবিই যদি তৈরি না হয় তাহলে এসব মাল্টিপ্লেক্সে তো বিদেশি ছবি চালাতে হবে।’
‘নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত সাউন্ড সিস্টেমসহ নানা সুযোগ সুবিধা দেবে সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। আমাদের ছবির অভাব হবে না। কিন্তু আমরা সবসময় দেশের ছবি প্রদর্শনে প্রাধান্য দেই। দেশের ইন্ডাস্ট্রি চাঙ্গা করতে হলে দেশের ছবি লাগবে। যারা ছবি নির্মাণ করছেন তাদের উচিত সময় ও দর্শকদের চাহিদা-রুচিকে প্রাধান্য দিয়ে ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করা। আমার বিশ্বাস আগামী বছরের মধ্যে এই মাল্টিপ্লেক্সগুলো চালু হলে ভালো ছবি নির্মাণ করলে মানুষ আবার সিনেমা হলে আসবে।’