চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

২০১৮ যেন না হয় নতুন উৎকণ্ঠার বছর

“আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে/ তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে”—কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ কথার মতো ২০১৭ সালের শেষ সূর্য ডুবে নতুন বছরে আশার বার্তা জানান দিচ্ছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে আরেকটি নতুন বছর শুরু মানবজীবনে। চলে যাওয়া বছরের পাওয়া না পাওয়ার হিসেব পেছনে রেখে সামনের দিনগুলো ভাল কিছু বয়ে আনবে, এই প্রত্যাশায় উজ্জীবিত সারাবিশ্ব। বাংলাদেশে ইংরেজি নববর্ষ পালনের রীতি বাংলা নববর্ষ পালনের মতো অতটা জাঁকজমক না হলেও বিশ্বায়নের ছোঁয়ায় দেশের মানুষ একেবারে বিচ্ছিন্নও নয়। নানা আয়োজন ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ইংরেজি নতুন বছরকে। গেল কয়েক বছর ধরে জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার শঙ্কায় থার্টিফাস্ট নাইটে বিশেষ সতর্কতা নিয়ে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জারি করে নানা নির্দেশনা। এ অবস্থার মধ্যেই দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে স্বাগত জানাচ্ছে নতুন বছরকে। নতুন বছর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতারা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একটি বছর চলে যাবার সালতামামি যেমন আমাদের সামনে এসে গেছে, তেমনি নতুন বছরে করণীয়, সম্ভাবনা ও শঙ্কাও আসতে শুরু করেছে। বছরজুড়ে চলা নিয়মিত নানা কার্যক্রমের সঙ্গে ২০১৮ সালে যুক্ত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের গণতন্ত্রের অব্যাহত ধারায় বছরের শেষদিকে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের রাজনৈতিক ঐতিহ্য মোতাবেক নির্বাচনের আগে পরে আন্দোলন-সংগ্রাম আর বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরোদেশ। আমাদের আশাবাদ, নতুন বছরে যেনো ওই ধরণের কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়, জনগণের জীবনে যেনো কোনো বিরূপ প্রভাব না ফেলে। নতুন বছর যেন সমাজ জীবন থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের মন থেকে সকল গ্লানি, হতাশা, হিংসা দূর করে। অনাগত রাজনৈতিক হানাহানি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে আমাদের প্রিয় স্বদেশ মুক্ত থাকুক, সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে গিয়ে বিশ্বের দরবারে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকুক, এই আমাদের প্রত্যাশা। সবার মঙ্গল কামনায় ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’।