প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ২০১৭ ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত পণ্য বাজারে এসেছে এ বছরে। বিভিন্ন ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড ডিভাইস বাজারে এসেছে এ বছর।
গুগল যেমন বাজারে এনেছে গুগল হোম, তেমনি অ্যামাজনও নিয়ে এসেছে অ্যামাজন ইকো। মাইক্রোসফটের সারফেস ল্যাপটপ যেমন আলোচিত হয়েছে, তেমনি জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। অন্যদিকে একই ঘরানার ডিজাইন নিয়ে পিক্সেলবুক বাজারে এনেছে গুগল।
স্মার্টফোনের বাজারেও আলোচনা কম ছিল না। বেজেললেস বড় পর্দার স্মার্টফোন ব্যাপক আকারে বাজারে এসেছে ২০১৭ সালেই। আর গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।
এ বছরের আলোচিত এমনই ১০টি গ্যাজেট দেখে নেওয়া যাক-
১. আইফোন ১০
অ্যাপলের বিশেষ সংস্করণের এই আইফোন এ বছর ছিল আলোচনার শীর্ষে। এতে আছে এজ-টু-এজ ডিসপ্লে। নিরাপত্তা ফিচার হিসেবে যুক্ত করা হয়েছিল ফেস আইডি যা বেশ আলোচিত হয়েছে। এছাড়া এ ডিভাইসটিতে নেই হোম বাটন। তবে অসাধারণ ক্যামেরা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ প্রভৃতি ফিচার মিলিয়ে অ্যাপল ভক্তদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে আইফোন ১০।
২. মাইক্রোসফট সারফেস ল্যাপটপ
অসাধারণ ডিজাইনের কারণে ল্যাপটপটি অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। ইন্টেলের সপ্তম প্রজন্মের কোর আই৫ এবং কোর আই৭ প্রসেসর সমৃদ্ধ এই ল্যাপটপটিতে আছে ১৩.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ।
৩. নিনটেন্ডো সুইচ
গেমিং কনসোল ব্যবহার করে সাধারণত বড় আকারের টিভিতেই গেম খেলেন গেমাররা। তবে এই ধারণা বদলে দিতে বাজারে এসেছিল নিনটেন্ডো সুইচ। এর সাথে আছে ৬.২ ইঞ্চি ডিসপ্লের একটি ট্যাব যার দুইপাশে জয়-কন কন্ট্রোলার যুক্ত করে তাতে খেম খেলা যাবে। আবার বাসায় থাকলে ডিভাইসটি টিভির সাথে যুক্ত করে গেম খেলা যাবে বড় পর্দায়।
৪. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৮
বর্ডারলেস ডিসপ্লে, বিক্সবি পার্সোনাল অ্যাসিসট্যান্ট সব মিলিয়ে স্যামসাংয়ের দারুণ এক চমক ছিল গ্যালাক্সি এস৮ এবং এস৮ প্লাস। এর চোখ ধাঁধানো ওএলইডি ডিসপ্লে সহজেই যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
৫. এক্সবক্স ওয়ান এক্স
মাইক্রোসফটের নতুন এ কনসোলে আছে ৬ টেরাফ্লপ গ্রাফিক্যাল কম্পিউটিং পারফরমেন্স। ৪কে রেজ্যুলেশন সমর্থিত এই কনসোলটিকে এখন পর্যন্ত বাজারে আসা সবচেয়ে শক্তিশালী গেমিং কনসোল বলা যেতে পারে।
৬. ডিজেআই স্পার্ক
চীনের ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজেআই’র এই ড্রোনটি আকারে খুবই ছোট, হাতের তালুতেই রাখা যাবে। ড্রোনটি পরিচালনার জন্য থাকছে না কোনো রিমোট। এর পরিবর্তে হাতের ইশারাতেই আকাশে উড়বে এটি। আরও উপরে উঠার নির্দেশনা কিংবা নিচে নামার নির্দেশনা, সবই হবে হাতের ইশারায়।
৭. অ্যামাজন ইকো (দ্বিতীয় প্রজন্ম)
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ইকো বাজারে আনে অ্যামাজন। এর তিন বছর পর ডিভাইসটির দ্বিতীয় প্রজন্মের সংস্করণ বাজারে এলো। নতুন স্পিকারটির ডিজাইন আরও আকর্ষণীয় করে তৈরি করা হয়েছে। এর সাথে থাকছে একটি উফার। আর দামও তুলনামূলক কম, ৯৯.৯৯ ডলার।
৮. অ্যাপল ওয়াচ ৩
কল করা কিংবা কল রিসিভ করা, এসব সুবিধা নিয়ে স্মার্টওয়াচটি বাজারে এনেছে অ্যাপল। ৪জি এলটিই সুবিধাও থাকছে এতে। আগের সংস্করণগুলোর তুলনায় আরও শক্তিশালী প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এই স্মার্টওয়াচটিতে।
৯. গুগল পিক্সেলবুক
ক্রোম ওএস চালিত এই নোটবুকটিও ছিল এ বছরের প্রযুক্তি বাজারে অন্যতম আকর্ষণ। কোর আই৭ প্রসেসর, ১৬ জিবি র্যাম, ৫১২ জিবি এসএসডি আছে পিক্সেলবুকে।
১০. স্যানডিস্ক ৪০০ জিবি মেমোরি কার্ড
হাতের মুঠোয় ৪০০ গিগাবাইট তথ্য জমা রাখতে স্যানডিস্কের এই মেমোরি কার্ড যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ মেমোরি কার্ডটিও ছিল ২০১৭ সালের অন্যতম চমক। মেমোরি কার্ডটিতে ৪ লাখ ইবুক কিংবা ২ লাখ ছবি কিংবা ১ লাখ গান সংরক্ষণ করা যাবে।