বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত থেকে ২০ জন উদীয়মান নেতৃবৃন্দকে অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ডস স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রীতে শিক্ষালাভ করার সুযোগ পাবেন।
নির্বাচিত অগ্রদূতরা সরকারি, বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়ন খাতে নিযুক্ত আছেন। এদের মধ্যে ১০ জন নারী এবং ২ জন বাংলাদেশের আদিবাসী প্রতিনিধি রয়েছেন।
১৯৭১ সাল থেকে তিন হাজারেরও অধিক বাংলাদেশিদের স্কলারশিপ প্রদান করেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের মধ্যে অনেকেই আজ বাংলাদেশ সরকারের, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং সমাজের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অস্ট্রেলিয়া থেকে শিক্ষা প্রাপ্ত করে নবনির্বাচিত অগ্রদূতরা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত ২৭ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই নবনির্বাচিত ২০ জন স্কলারশিপপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ডসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে আমি আপনাদের দৃঢ়ভাবে উৎসাহ দিতে চাই; যাতে আপনারা সমাজে অবদান রেখে, সাহসিকতার সাথে এবং রোমাঞ্চকর হয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন ও দু-দেশের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব ও অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ডসের সাবেক শিক্ষার্থী মিরানা মাহরুখ অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে এই স্কলারশিপ প্রদান করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলভাবে চিন্তা করার উৎসাহ জানাই। আপনারা এই সুযোগকে নিজ নিজ ব্যক্তি উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়নের কাজে লাগাবেন বলে আশা ব্যক্ত করছি।
অনুষ্ঠানে স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপনন ও যোগাযোগ বিভাগে কর্মরত ত্রিবেণী চাকমা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ফেরত এসে আমাদের সমৃদ্ধ জ্ঞান ও নেটওয়ার্ক দিয়ে আমাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের, আমাদের সমাজ ও দেশের উন্নয়ন সাধনের প্রচেষ্টা করে যাব।’
কোভিড-১৯ এর কারণে উদ্ভূত ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা শিথিল হলে অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ডস স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষালাভের জন্য গমন করবে।
অস্ট্রেলিয়া এওয়ার্ডস স্কলারশিপের পরবর্তী রাউন্ডের জন্য আবেদন উন্মুক্ত হচ্ছে ১লা ফেব্রুয়ারি এবং চলমান থাকবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।