শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপ-মন্ত্রীসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নামে তৈরি করা ১৯টি ভুয়া ফেসবুক আইডি ও মেসেঞ্জার দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
গ্রেপ্তারের নাম মো. সৈকত হোসেন ভূইয়া ওরফে তপু (২১)। গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার খিলক্ষেতের রিজেন্সি হোটেলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এস এম রেজাউল হক জানান, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিবের ছবি ব্যবহার করে কে বা কারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তন করার কথা বলে ফেসবুকে বিভিন্ন প্রকার পোস্ট দিয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার তপু ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। প্রতারণার কাজে সে প্রায় ১৯টি ফেসবুক ও মেসেঞ্জার আইডি ব্যবহার করতো। তার মোবাইল ফোন হতে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপ-মন্ত্রী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিবের ছবিযুক্ত ফেসবুক আইডিতে লগইন করে দেখা যায়, সে এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি, অনার্স ও মাষ্টার্স পরীক্ষার মার্কশিট পরিবর্তন ও নাম্বার বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপে অনেক পোস্ট দিয়েছে।
রেজাউল হক জানান, তপু রেজাল্ট পরিবর্তনে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের তার পরিচালিত ফেসবুক মেসেঞ্জারের ইনবক্সে ম্যাসেজ দিতে বলে। ভুক্তভোগীরা ম্যাসেজ দিলে প্রতারক তাদেরকে এডিট করা মার্কশিট ও বিকাশে বিভিন্ন লোকের পাঠানো টাকার স্ক্রীনশট দেখিয়ে আস্থা অর্জন করতো।
মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বার দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাকে ব্লক করে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতো। এছাড়াও, সে বিভিন্ন নারী পুরুষের ছবি ফেসবুক প্রোফাইলে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাতো।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রতারক তপুর বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় মামলা হয়েছে।