১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী নিয়ে দেশটি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চাইবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের হয়ে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক তৎপরতায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সরকার নতুন করে ভাবছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বারবার প্রতিবাদের পরও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে পাকিস্তানের সর্বশেষ ভূমিকার পর দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের দোসর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে কোনো বন্ধু রাষ্ট্র বিরোধিতা করতে পারে না। তারা যেহেতু অব্যাহতভাবে বিরোধিতা করছে সেহেতু সম্পর্কের বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন,‘পাকিস্তান ও তুরস্কের প্রতিক্রিয়াকে এক পাল্লায় মাপার সুযোগ নেই। পাকিস্তানের বিষয়টি অনেক বেশি গুরুতর এবং বাংলাদেশের জন্য খুবই উদ্বেগের। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা এইসব বিবেচনায় রাখবো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোনো রাষ্ট্র যে বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না, বাংলাদেশের মৌলিক বিষয়ে বিরোধীতাকারীদের সমর্থনকারীরা বাংলাদেশের বন্ধু নয়’।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, শুধু বাংলাদেশি মানবতা বিরোধী অপরাধী নয় বরং একাত্তরের সরাসরি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্তদের সাজা নিয়েও সক্রিয় হবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে সমঝোতা হয়েছিলো তাতে পাকিস্তান স্পষ্টভাবে বলেছিলো ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাকে তারা জিম্মায় নিচ্ছে। জিম্মায় নেয়া মানে দেশে নিয়ে বিচার করা, ছেড়ে দেয়া নয়। কিন্তু পাকিস্তান কথা রাখেনি। এ ব্যাপারে জবাব আদায়ের সময় এসেছে। হ্যাঁ এতোদিন নিশ্চুপ থাকা হয়েছে। কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়াটাই শুরু হয়েছে দেরীতে। আর এখন তা দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে’।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি তারা পাননি।