সোমবার (৬ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য ১৮টি উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরীতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচারনায় বাধা দেয়া, নেতাকর্মীদের উপর হামলা-নির্যাতন চালানোসহ নির্বাচনী এলাকাগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ তৈরীতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা ‘হাসিনা মার্কা’ নির্বাচন বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘হাসিনা মার্কা নির্বাচন মানেই একতরফা নির্বাচন, রক্তাক্ত নির্বাচন, একদলীয় নির্বাচন। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে চিরদিন ক্ষমতায় রাখার জন্য ভোটারবিহীন নির্বাচন’।
১৮টি উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি প্রার্থী এবং তাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ক্যাডারেরা ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, নূরুল হুদার নিজ এলাকার তাণ্ডবও দমন করতে পারছে না। সেখানে পুরো দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কিভাবে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করবেন তা জাতির প্রশ্ন।
রিজভী বলেন, এই আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার দিয়ে শাসকদলের প্রভাবমুক্ত, অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। মাত্র ১৮টি উপজেলা নির্বাচনও রক্তাক্ত পথ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে। ভোটারদেরকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্য ভয়াল পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটাই নূরুল হুদার ব্যর্থতার প্রমাণ ।
একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন রিজভী আহমেদ।
সোমবার (৬ মার্চ) অনুষ্ঠিতব্য ১৮টি উপজেলার মধ্যে তিনটিতে সাধারণ, ৯টিতে শুধু চেয়ারম্যান পদে, চারটিতে ভাইস চেয়ারম্যান ও দু’টিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
এর মধ্যে সিলেটের ওসমানীনগর, খাগড়াছড়ির গুইমারা ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সাধারণ নির্বাচন হবে। এ তিন উপজেলায় সব পদে ভোট হবে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা, বরিশালের বানারীপাড়া ও গৌরনদী, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি, কুমিল্লা আদর্শ সদর, পাবনার সুজানগর, নাটোরের বড়াইগ্রাম এবং কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা পরিষদে শুধু চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, নীলফামারীর জলঢাকা, সাতক্ষীরার কলারোয়া ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়।
পাবনার ঈশ্বরদী ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
স্থানীয় পর্যায়ের এই নির্বাচনে সবগুলো উপজেলায় বিএনপি অংশগ্রহণ করছে।