সাম্প্রতিক সময়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। গত কিছুদিন আগে মার্কিন ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার রেশ শেষ হতে না হতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরেকটি মন খারাপের খবর দিয়েছে ইরান।
ইরান দাবি করেছে, দেশটি ১৭ জন গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়েছে। যারা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হয়ে ইরানে গুপ্তচর বৃত্তিতে লিপ্ত ছিলো।
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানায়, সন্দেহভাজনরা ইরানের সামরিক ও পরমাণু কর্মকাণ্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলির তথ্য সংগ্রহ করার কাজে লিপ্ত ছিলো।
সোমবার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমের ঘোষণায় ইরান জানায়, অভিযুক্তদের চলতি বছরের মার্চে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার আগে রোববার ইরানি গোয়েন্দা মন্ত্রী মাহমুদ আলভি ঘোষণা করেন যে, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তি” গ্রেপ্তারের একটি তথ্যচিত্র সোমবার ইরানি টিভিতে প্রচারিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংবেদনশীল কেন্দ্রে আমেরিকান ও বিদেশি গোয়েন্দাদের শনাক্ত করেছি এবং আমরা তাদের বিচার বিভাগে হস্তান্তর করেছি। এই ঘটনা আমাদের লোকজনকে আগামী ২২ জুলাই তারিখে সম্প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রের বিস্তারিত জানানো হবে।’
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ইরানের এই দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, ইরান ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শূন্য সত্য। এটা এমন এক মিথ্যা যেভাবে তারা ড্রোন ভূপাতিত করার তথ্য প্রকাশ করেছিলো। ইরান আসলে এক ধর্মীয় শাসনের মাধ্যমে খারাপভাবে ব্যর্থ হচ্ছে, তাদের কোনো ধারণা নেই কখন কী করতে হবে। তাদের অর্থনীতি একেবারে মৃত, আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। ইরানের একেবারে জগাখিচুড়ি অবস্থা!
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক পারমানবিক চুক্তি পরিত্যাগ এবং ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দুদেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
সূত্র: বিবিসি