ইনিংসের প্রথমার্ধে ধারহীন বোলিংয়ে চিন্তা, পরের অর্ধে স্পিনারদের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা, শেষদিকে আফগানিস্তানের চোট ছোট ঝড়। তাতে লক্ষ্যটা দেড়শ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। জয়ে তিন টি-টুয়েন্টির সিরিজ শুরু করতে টাইগারদের করতে হবে ১৬৮ রান।
দেরাদুনে রোববার রুবেল-সাকিবের সাফল্যের পর মাহমুদউল্লাহর এক ওভারে জোড়া আঘাতে ধাক্কায় পড়া আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৭ রান তুলেছে।
মারকুটে সৌম্য সরকারকে বাইরে রেখে একাদশ সাজানো বাংলাদেশ টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অধিনায়ক সাকিবের মুখে হাসি ফোটাতে পারছিলেন না কোনো বোলারই। প্রথম সাফল্য পেতে পাঁচ বোলারকে হাত ঘোরাতে হয়। পরে রুবেলের হাত ধরে আসে আরাধ্য উইকেট।
দুই পেসার রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহির সঙ্গে পেস-অলরাউন্ডার আবুল হাসানকে একাদশে রেখেছে টাইগাররা। পেসেই আসে প্রথম সাফল্য। নবম ওভারে ২৪ বলে ২৬ করা উসমান ঘানিকে বোল্ড করেন রুবেল।
মোহাম্মদ শাহজাদ ও অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাই রানের গতিতে বেগ আনতে যাচ্ছিলেন। তখনই আঘাত সাকিবের। ৩৭ বলে ৪০ করা শাহজাদকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান টাইগার দলপতি। অবশ্য ৩৮ রানে থাকার সময়ই শাহজাদের ফিরতি ক্যাচ নিলে সাফল্য মেলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ভেল্কি দেখান মাহমুদউল্লাহ। দ্বিতীয় বলে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে (২) রাহির ক্যাচ বানানোর পর পঞ্চম বলে অফস্টাম্প নাড়িয়ে দেন রানের খাতা খুলতে না পারা মোহাম্মদ নবীর।
পরের সাফল্য আবু জায়েদের। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সামিউল্লাহ সেনওয়ারিকে মোসাদ্দেকের ক্যাচ বানান তিনি। ৩টি করে চার-ছয়ে ১৮ বলে ৩৬ রানের ঝড় তুলে ফেরেন সেনওয়ারি। শেষদিকে ঝড় তোলা শফিকউল্লাহ শফিককে বোল্ড করেন আবুল হাসান। ৩ ছয় আর এক চারে ৮ বলে ২৪ করে যান শফিক।
আবু জায়েদ একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪২ রান। রুবেলের এক উইকেট পেতে ৪ ওভারে খরচ ৩২। সাকিব দারুণ করেছেন, নিজের কোটা পূরণ করে এক উইকেট নিতে দিয়েছেন মাত্র ১৯ রান। মোসাদ্দেক এক ওভারে দিয়েছেন ৩ রান। আর জোড়া আঘাতের ওভার করা মাহমুদউল্লাহ ২ উইকেট নিয়েছেন এক রানে।