বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে বন্ধ হওয়া ১৬৩টি বাস রাস্তায় চলাচলের অনুমতি চেয়ে সুপ্রভাত পরিবহনের আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিস্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে আজ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিআরটিএ চেয়ারম্যানের প্রতি এই নির্দেশ দেয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া দুলাল।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনের রাস্তায় গত ১৯ মার্চ এই পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী মারা যান। পরবর্তীতে বিআরটিএ -এর নির্দেশে গত ২০ মার্চ থেকে রাজধানীতে সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩টি বাস চলালচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর গত ১ এপ্রিল সুপ্রভাত পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাস চলাচলের অনুমতি চেয়ে বিআরটিএ’র কাছে আবেদন করে। কিন্তু সে আবেদনের পরও বাস চলাচলের অনুমতি না মেলায় গত ৮ এপ্রিল বিআরটিএকে একটি লিগ্যাল নোটিস পাঠায় সুপ্রভাত পরিবহন কর্তৃপক্ষ। সে নোটিসের জবাব না পেয়ে সোমবার হাইকোর্টের একটি রিট করেন সুপ্রভাত পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ আলী। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ আদেশ দেন।
এদিকে আবরারের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতের নজরে আনার পর আবরারের পরিবারকে জরুরি ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের সে নির্দেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আর আবরারের মৃত্যুর ঘটনার পর টানা কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।