করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিশ্বমহামারী পরিস্থিতিতে চলতি বছর বিশ্বজুড়ে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা ১৩ কোটি ২০ লাখ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
এছাড়া, মহামারীজনিত কারণে বিশ্বব্যাপী মারাত্মকভাবে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা বেড়ে ৬ কোটি ৭০ লাখে পৌঁছাবে।
এফএও বলছে: করোনাভাইরাস মহামারী অনেক কৃষকের জন্য কঠিন সময় বয়ে এনেছে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলে লাখ লাখ মানুষের খাদ্য সুরক্ষাকে ব্যাহত করেছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষুধা নিরসন ও সমস্যাটিকে আরও জটিল আকার ধারণ করা থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধারণা উন্নয়নে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে একটি অনলাইন সম্মেলন।
করোনা সংকটের কারণে লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারানোতে খাদ্য সমস্যাটি দ্বিগুন কঠিন হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
ভার্চুয়াল সভার শুরুতে এফএও মহাপরিচালক বলেন: ‘আমরা দুটি মহামারীর মুখোমুখি হয়েছি। যার একটি হলো কোভিড-১৯, যা আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবিকায় প্রভাব ফেলছে। অন্যটি হলো ক্ষুধা, যাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ দশকের শেষের দিকে নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
চার দিন ধরে চলবে এ ভার্চুয়াল সভা। সেখানে ৪৬টি সদস্য রাষ্ট্রের মোট ৪০০ জন ডেলিগেট অংশ নিবেন।
বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছন: কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান ও খাদ্য সচিব ডা. মোসাম্মাত নাজমানারা খানুমসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।
এ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে এফএও প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।
পুষ্টি উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ডা. মোসাম্মাত নাজমানারা খানুম।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন: বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে পুষ্টি বৈচিত্র্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু করোনা মহামারী আমাদের এ অগ্রগতিকে হুমকিতে দিয়েছে এবং সম্ভবত এই সঙ্কটটি স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে।
এফএও সভার আগে সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: কোভিড-১৯, টাইফুন ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রোগ ও পঙ্গপালের মতো পোকামাকড়ের আক্রমণের যৌথ প্রভাবে খাদ্যতন্ত্রের ওপর আসা একাধিক ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য সক্ষমতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।