শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর আজ। নৃশংস হত্যাকাণ্ডটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও আইনি জটিলতায় তা থেমে গেছে বারবার।
অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের বিচার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কিবরিয়ার সঙ্গে নিহতদের পরিবার।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে ফেরার সময় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাইয়ের ছেলে শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হলেও দফায় দফায় তদন্ত আর আইনি জটিলতায় মামলার সুরাহা হচ্ছে না। এ কারণে নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা হতাশ।
ওই দিন নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী ওই দিন নিহত হন। আমরা ওই অত্যাচারীদের বিচার এ বাংলার মাটিতে দেখতে চাই। ১০ বছর পর যে বিচার কাজ শুরু হয়েছে তা যেনো দ্রুত শেষ করা হয়।’
নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী নিয়ম অনুযায়ী ১শ’ ৩৫ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন কিবরিয়া হত্যা মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে স্থগিত করা হয়।
আর বিস্ফোরক মামলাটি হবিগঞ্জ দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মামলার বাদি এবং হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান এমপি বলেন, ‘এ কিবরিয়া হত্যার বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবে। অন্য হত্যার বিচার যেমন হয়েছে এ হত্যার বিচারও হবে।’
দীর্ঘ ১০ বছর পর বিচারকাজ শুরু হলেও আইনি জটিলতা শেষে কিবরিয়া হত্যা মামলা আদৌ শেষ হবে কি-না এ নিয়ে সংশয়ে ওইদিন গ্রেনেড হামলায় আহতরা।
স্বামী হত্যার বিচার শেষ হওয়ার আগেই মৃত্যু বরণ করেছেন শাহ এ এম এস কিবরিয়ার সহধর্মীনি আসমা কিবরিয়া।