পশ্চিমাদেশগুলোর শিশুকিশোররা অক্টোবরে সেজে ওঠে অদ্ভুতুড়ে সাজে। কারণ ভূত উৎসব বা হ্যালোইনে চাই নতুন সাজ। এমন সাজে প্রতিবেশীর বাড়ির দরজায় গিয়ে মজার সব চকোলেট পাওয়ার লোভ জাগাটাই স্বাভাবিক। হ্যালোইন উৎসবে চমকে দেয়ার ইচ্ছে থাকে সব শিশুর। এই উৎসবে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুটির চলার সঙ্গী হুইলচেয়ারটিকেও সাজানো যায় হ্যালোইন সাজে।
হুইলচেয়ারকে ড্রাগন, জলদস্যুর জাহাজ, কমিক বইয়ের নানা সাজে সাজিয়ে বিশেষ শিশুদের মুখেও উৎসবের হাসি ফোটাচ্ছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাজিক হুইলচেয়ার’ ।
২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা ‘ম্যাজিক হুইলচেয়ার’-এর উদ্যোক্তা রায়ান ওয়েইমার এবং তার স্ত্রী লানা। এই মার্কিন দম্পতির ৫ সন্তানের মধ্যে ৩ জনকেই মেরুদণ্ড সংক্রান্ত বিশেষ জটিলতা ‘স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি’র জন্য হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হয়।
এমন প্রতিবন্ধকতা থাকতেই পারে তাই বলে হ্যালোউইনে কি মুখ গোমড়া করে থাকবে সন্তানরা। তাই সন্তানদের হুইলচেয়ারকেই হ্যালোউইন-জাদুতে নতুন রূপ দেয়ার ভাবনা আসলো ওয়েইমার দম্পতির মনে। নিজেদের ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করলেন হুইলচেয়ারের ওপর ত্রিমাত্রিক নানা অনুষঙ্গ চাপিয়ে। তাই সাদামাটা হুইল চেয়ারটাই হয়ে গেলো স্পেসশিপ, জাহাজ, ডায়নোসর।
এই কাজে ওয়েইমার দম্পতিই একা নন তাদের সহায়তা করছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। অনুদানের অর্থেই জাদু দেখাচ্ছে এসব হুইলচেয়ার।
২০১৫ সালের পর থেকে এখন প্রতিবছরই হুইলচেয়ারে হ্যালোইন জাদুর ছোয়া লাগাতে চায় ‘ম্যাজিক হুইলচেয়ার’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ টি প্রদেশে ১৮ টি টিম এই কাজে যুক্ত হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের গণ্ডি ছাড়িয়ে চিলি এবং কানাডার শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুদের অনাবিল হাসির স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ‘ম্যাজিক হুইলচেয়ার’।