হগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্র্যাফট এন্ড উইজার্ডরির শিক্ষার্থী কিশোর জাদুকর ‘হ্যারি পটার’। দুই বন্ধু রন ও হারমায়োনিকে নিয়ে নানা অ্যাডভেঞ্চারে জড়িয়ে যায় হ্যারি। আর এই চরিত্রকে নিয়ে জে কে রাওলিং এর সাড়া ফেলে দেয়া কল্পকাহিনী ভিত্তিক উপন্যাস সিরিজ ‘হ্যারি পটার’ এর প্রথম বই প্রকাশের ২০ বছর পূর্তি হচ্ছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
উদযাপনে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। ১৫ অক্টোবর থেকে রাজধানীর ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয়ে শুরু হয়েছে ‘হ্যারি পটার’ ভক্তদের জন্য ‘হ্যারি পটার উৎসব’। এ উৎসব চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড’ এর অংশ হিসেবে ঢাকার সহ আরও চারটি বিভাগে তিনটি পর্যায়ে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
২২ অক্টোবর, রবিবার ব্রিটিশ কাউন্সিলে ‘হ্যারি পটার’ আর জাদুর ভক্তদের জন্য ছিল দ্বিগুণ আনন্দের দিন। বাংলাদেশের প্রখ্যাত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ সেদিন উপস্থিত ছিলেন সেখানে। অনুষ্ঠান শেষ করে উচ্ছ্বসিত জুয়েল আইচ তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তার মতে, শিশু কিশোররা জাদুর সর্বশ্রেষ্ঠ দর্শক। প্রথম পর্বে তার জাদুর প্রদর্শনী শেষে দাঁড়িয়ে সম্মানও প্রদর্শন করেছে জাদু-ভক্ত হাজারো শিশু-কিশোর। দ্বিতীয় পর্বে ‘জীবন জয়ের জাদু’ নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন তিনি উপস্থিত শিশু-কিশোরদের সাথে।
তবে, জাদু-ভক্ত শিশুদের সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করেছে অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্ব। ‘উইজার্ড’স ক্লাসরুম’ নামক এই পর্বে জাদুর উপস্থাপনা, শিল্প আর বিজ্ঞানের কৌশল শিখিয়ে শিশু-কিশোরদের কৌতূহল মিটিয়েছেন জুয়েল আইচ। তাঁর কাছ থেকে জাদুর গোপন নানা রহস্য শিখতে পেরে খুশির সীমা ছাড়িয়ে গেছে উপস্থিত সবার। অসংখ্য শিশুর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে দারুণ আনন্দিত আমাদের সকলের প্রিয় জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ।