‘হ্যান্ড অব গড’ শব্দটা শোনা মাত্রই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে ইংলিশরা। ডিয়েগো ম্যারাডোনার নামের পেছনে ‘প্রতারক’ তকমাটা যোগ না করলে শান্তি হয়ও না মনে। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির কিংবদন্তির প্রতি তাদের ক্ষোভের প্রকার এতটাই যে গত বুধবার চিরবিদায়ের দিনেও ম্যারাডোনাকে ক্ষমা করতে অনিচ্ছুক ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলের গোলরক্ষক পিটার শিলটন।
১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে দুটি গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা যার একটি ভীষণরকম সমালোচিত আর অন্যটি ইতিহাসের অন্যতম সেরা। বিতর্কিত গোল নিয়ে ম্যারাডোনাকে ইংলিশরা ধুয়ে দিলেও একটি কথা কখনই মুখে আনতে চায় না যে সেই দুই গোলের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে।
বুধবার হার্ট অ্যাটাকে ম্যারাডোনার প্রয়াণের পর ৮৬’ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই ভিডিওতে দেখা গেছে প্রতিপক্ষের মূল খেলোয়াড়টিকে থামানোর জন্য কতটা কুৎসিত মনোভাব নিয়ে মাঠে নেমেছিলো ইংলিশ ফুটবলাররা।
পুরো ম্যাচে ইচ্ছা-অনিচ্ছাকৃতভাবে ম্যারাডোনাকে ফাউলের পর ফাউল করে গেছেন ইংলিশ ফুটবলাররা। কখন কড়া ট্যাকল, কখনো হাল্কা আবার প্রয়োজনে কনুই ব্যবহার করা থেকেও ইংলিশদের বিরত রাখতে পারেননি ম্যাচের রেফারি। ম্যাচে এমন কিছু ফাউলও ছিলো যেগুলো আরেকটু মারাত্মক হলেই ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যেতে পারতো আর্জেন্টাইনদের চোখের মণির!
তবে ম্যারাডোনা ছিলেন যোদ্ধা, আর যেকারণে প্রতিপক্ষের চোখ রাঙানিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঠিকই ফকল্যান্ড যুদ্ধের হারের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন নিজের বাম হাত আর অসাধারণ এক গোল দিয়ে। প্রতিপক্ষের ট্যাকলের কাছে যদি নিজেকে সঁপে দিতেন তাহলে কী কোটি মানুষের ভালোবাসায় কী আজকের কিংবদন্তি হতে পারতেন তিনি?