ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু হৃদয়ের কোণে পর্তুগিজ মহাতারকার জন্য ফাঁকা স্থানটাকে এরইমধ্যে এডেন হ্যাজার্ডের জন্য বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তরা। বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডকে বরণ করে নিতে সমর্থকের ঢল নেমেছিল লস ব্লাঙ্কোসদের প্রাণের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে!
বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল হ্যাজার্ড বরণ উৎসব। কিন্তু দর্শকের ঢল এতটাই ছিল যে বাধ্য হয়ে কিছুটা দেরি করেই অনুষ্ঠান শুরু করেছে রিয়াল কর্তৃপক্ষ। বেলজিয়ান তারকাকে দেখতে এদিন মাঠে এসেছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি রিয়াল সমর্থক। যা কিনা গত মৌসুমে রিয়ালের শেষ চার ম্যাচের দর্শকের চেয়েও বেশি!
হ্যাজার্ডের জন্য কতটা তৃষ্ণার্ত ছিলেন রিয়ালের সমর্থকরা সেটা তাদের উপস্থিতিই বুঝিয়ে দিচ্ছে। সবশেষ ২০১৪ সালে হামেস রদ্রিগেজকে বরণ করে নিতে ঠিক এই সংখ্যার দর্শকের সমাগম ঘটেছিল বার্নাব্যুতে। ২০০৯ সালে ব্রাজিলিয়ান তারকা কাকাকে দেখতে আসা দর্শকের পরিমাণ ছিল ঠিক এমনই।
এক্ষেত্রে সবার থেকে এগিয়ে রোনালদো। ২০০৯ সালে যখন তার পা পড়ে বার্নাব্যুতে, সেদিন ৭০ হাজারেরও বেশি দর্শক সরাসরি উপস্থিত হয়ে দেখেছিল বরণ অনুষ্ঠান। পরে মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে লম্বা সময় তাদের মনও জয় করেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
মাঠে নেমেই রিয়াল সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছেন হ্যাজার্ড। হাজার হাজার সমর্থকদের সামনে চুমু খেয়েছেন জার্সি আর লোগোতে। তারপরই শুনিয়েছেন সেই কাঙ্ক্ষিত বানী যা শোনার জন্য এত সমাগম বার্নাব্যুতে, ‘রিয়ালের হয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি। আশা করি অনেক ট্রফি জিততে পারবো।’
‘ছোটবেলা থেকেই রিয়ালের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছি। সবসময়ই রিয়ালকে সমর্থন করতাম। তারপর প্রথমে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড হয়ে আজ এই জার্সি পরতে পারাটা সত্যিই গর্বের।’
‘সবাই জানেন যে জিদান আমার আদর্শ। এখন তিনি আমার কোচ। তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এখানে।’
এর আগে ছয় মাস ধরে বহু জল্পনা-কল্পনার পর চলতি মাসে চেলসি থেকে হ্যাজার্ডকে দলে টানে রিয়াল। এজন্য তাদের গুণতে হচ্ছে পাক্কা ১০০ মিলিয়ন ইউরো। সঙ্গে বোনাস-ভাতা মিলিয়ে খরচটা হতে পারে মোট ১৩০ মিলিয়ন। লস ব্লাঙ্কোসদের সঙ্গে হ্যাজার্ডের নতুন চুক্তিটা হয়েছে পাঁচ মৌসুমের জন্য।