ভারতের উত্তর-পশ্চিম আসামের একটি গ্রাম ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন তারা। তাদের নিয়েই সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে গুজব। সেখানে তাদের উল্লেখ করা হয় ছেলেধরা হিসেবে।
ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান দিয়ে সেখানেই ওই দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করে একটি বড় দাঙ্গাকারী দল।
এই ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করেছে ভারতের পুলিশ। পুরো ভারত জুড়েই হোয়াটস অ্যাপে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। গতমাসেও এই ধরনের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ছড়িয়ে পড়া বার্তাগুলোর স্বরূপ উৎঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে ভারতের সরকার। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা মুকেশ আগারওয়াল বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যখন গুজব ছড়িয়ে পড়ে তখন সেগুলো রোধ করতেও কিছুটা সময় লেগে যায়। পুলিশ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নজর রাখছে এই ধরনের বার্তা ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে।
নিহত দুজনের একজনের নাম নিলোৎপল দাস, তিনি একজন অডিও ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যজন অভিজিৎ নাথ একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট। দুজনেই আসামের সবচেয়ে বড় শহর গোয়াহাটির বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামটিতে তারা পথ জানতে চাওয়ার জন্য থামতেই আক্রমণের শিকার হয়। সেই আক্রমণেরই একটি ভিডিও আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একজনকে জীবন ভিক্ষা চাইতে দেখা যায়। রোববার এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গোয়াহাটির শিক্ষার্থী ও সমাজকর্মীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে।
সরকার জানিয়েছে, এসব গুজব রোধে বিশেষ কন্ট্রোলরুমও রয়েছে, তারা একই সঙ্গে এসব ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা রোধেও সচেতনতা বাড়াবে।
রাস্তা থেকেই বাচ্চা তুলে নিয়ে যাওয়ার কিছু কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই গুজব কখন ও কিভাবে ছড়ানো শুরু হয়েছে তা জানা যায়নি।