আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭০, বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০০ ছুঁয়ে ছুটছেন, টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে সময়টা ভালোই কাটছে শাই হোপের। তাতে ভালো সময় কাটছে উইন্ডিজেরও। উল্টোটা বাংলাদেশের। সাকিব-মিরাজের জোড়া ধাক্কার পর আর উইকেট তুলে নিতে পারেনি কেউ, রানের গতি আটকানোর চেষ্টাতেও কঠিন পরীক্ষায় পড়েছে টাইগার বোলাররা।
উইন্ডিজ- ১৯৬/২ (৩৯)
টস জিতে ব্যাটিংয়ে এসে হোপ এদিন আরেক ওপেনার সুনিল আমব্রিসকে নিয়ে জুটিতে ৮৯ রান তুলে ফেলেন। পরে ত্রাতা হয়ে আসেন মিরাজ। আমব্রিসকে ফিরিয়ে দেন ব্রেক-থ্রু। পরের ওভারেই সাকিব দিয়েছেন দ্বিতীয় ধাক্কা।
দারুণ উদ্বোধনী জুটিতে আমব্রিসের অবদান ৩৮, ৪ চারে ৫০ বলের ইনিংস। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যারিবীয় ওপেনারকে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দী করান অফস্পিনার মিরাজ।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্রাভোকে (১) উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দী করেন সাকিব আল হাসান।
সেখান থেকে রোস্টন চেজকে নিয়ে শতরানের জুটির গড়েছেন হোপ। ১২৬ বলে তুলে নিয়েছেন শতক, যাতে ১০ চারের সঙ্গে এক ছক্কার মার। চেজও আছেন ফিফটির খুব কাছে।
এদিন শুরুটা দারুণ হতে পারত বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার, মাশরাফীর প্রথম ওভার সেটি, আমব্রিস অল্পের জন্য এলবিডব্লিউ হননি। পরপর দুই বলে মাশরাফীর জোরাল আবেদন নাকচ করে দেন আইরিশ আম্পায়ার। উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা সুযোগ দিয়েছিলেন অতটুকুই।
বলা চলে নির্ভুল ক্রিকেট খেলেই শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাচ্ছিলেন দলীয় সংগ্রহ। সেখানে পাল্টা আঘাতে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন সাকিব-মিরাজ। সেটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বড় লক্ষ্য দেয়ার মঞ্চ তৈরি করে বিপদ বাড়াচ্ছে ক্যারিবীয়রা।