আগেরদিন আক্রমণাত্মক খেলা দিয়েই ম্যাচ নিজেদের দখলে নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ মাহবুব হারুন। আর ম্যাচে নেমে একের পর এক শিশুতোষ সুযোগ নষ্ট করে কোচকে ভুল প্রমাণিত করলেন জিমিরা। যার খেসারত দিতে হয়েছে পাকিস্তানের কাছে ৭-০ গোলে হেরে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাই হতাশা লুকোতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। পাশাপাশি টিম হোটেলে জার্সি ফেলে আসা দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে নিয়েও সমান হতাশা ব্যক্ত করলেন টিম ম্যানেজার।
দারুণ কিছু করে দেখানোর ইঙ্গিত ছিল ম্যাচের শুরুতে। রক্ষণ সামলে গোল পাওয়ার মত আক্রমণও শানিয়েছিলেন জিমিরা। কিন্তু ১৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার পরেই খেই হারানোর শুরু বাংলাদেশের। স্নায়ুর লাগাম গেল ছুটে। সঙ্গে ম্যাচে ফেরার তাগিদটাও। ছন্নছাড়া পাসে নিজেরা তো বল ধরে রাখতে পারেননি, রক্ষণে মার্কিংয়েও ছিল মহাগলদ।
হারার পেছনে তাই নিজেদের দোষটাই বড় করে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। একই ভুল করতে থাকলে শুক্রবার ভারতের বিপক্ষেও বড় হার দেখতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি তার, ‘আসলে আমরাই ম্যাচটা পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে এসেছি। বেশ বড় কিছু ভুল ছিল। একটা গোল হলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন কিছু হতে পারত। সবাইকে বলেছিলাম দুই-তিনজনের পায়ের ফাঁক দিয়ে যেন বল না দেয়। তাই হয়েছে। বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমরা ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে ভিডিও বিশ্লেষণ করব। ভুল শোধরাতে না পারলে ভারতের বিপক্ষে এর চেয়েও খারাপ কিছু হতে পারে।’
ওয়ার্ল্ড হকি লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘানার এক খেলোয়াড়কে পায়ে হকি দিয়ে আঘাত করে চলতি এশিয়া কাপে নিষিদ্ধ হয়েছেন সারোয়ার হোসেন। গুরুত্বপূর্ণ এই খেলোয়াড়ের অভাব পদে পদে টের পেয়েছেন বলে জানালেন জিমি, ‘মিডফিল্ডে সারোয়ারের অভাব বোধ করেছি খুব। তাকে পেলে মাঝমাঠে খেলা আমাদের জন্য অনেকটা সহজ হত। এখন আমাদের সামনেই তাকাতে হবে।’
সারোয়ারের মত আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে বুধবার লম্বা সময় মাঠে পায়নি বাংলাদেশ। তবে নিষেধাজ্ঞার জন্য নয়, জার্সি টিম হোটেলে ফেলে আসার মত শিশুতোষ ভুল করেছেন সেই খেলোয়াড়। তিনি রোমান সরকার। এমন ভুলের পর তাকে নিয়ে বেশ হতাশাই ঝরল টিম ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম কামালের কণ্ঠে, ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একজন খেলোয়াড় যখন জার্সি ফেলে আসার মত ভুল করতে পারে তখন তাকে নিয়ে আর কী করা যেতে পারে? শুধু এতটুকুই আশা করতে পারি, পরবর্তীতে সে এমন ভুল আর করবে না।’