চট্টগ্রাম থেকে: জয় বা ড্র হলে সোনায় সোহাগা, হারলেও ক্ষতি নেই খুব একটা- এমন সমীকরণের ম্যাচে কলকাতার জাযান্ট মোহনবাগানের কাছে ১-০ গোলে হারল শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী।
হারে অবশ্য একদমই ক্ষতি হয়নি স্বাগতিকদের। গ্রুপ ‘এ’র সেরা হয়েই শেষ চারে উঠে গেছে মারুফুল হকের দল। আর চট্টগ্রামকে হারিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে একই গ্রুপের হয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে পশ্চিমবঙ্গের জায়ান্টরা।
ম্যাচের আগেই গ্রুপের অন্যদলগুলোর তুলনায় ৫ গোল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। হেরে গোল ব্যবধানও কমেছে একটি। অন্যদিকে মোহনবাগানের গোল ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ২। দিনের প্রথম ম্যাচে হারা লাওসের ক্লাব ইয়ং এলিফ্যান্টসদের কোনো গোল ব্যবধানই ছিল না। তাই দারুণ খেলেও গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে তরুণ দলটিকে।
সেমিফাইনাল প্রায় আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আগের দুই ম্যাচের একাদশ থেকে ছয় খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে সাইডবেঞ্চের খেলোয়াড়দের দিয়ে মোহনবাগানের বিপক্ষে রণকৌশল সাজান চট্টগ্রাম কোচ মারুফুল হক। আগের দুই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জামাল ভূঁইয়া, উইঙ্গার আরিফুল ইসলাম, চিনেদু ম্যাথিউরা এদিন খেলেননি একাদশে।
প্রায় পরিবর্তিত একাদশ দিয়ে প্রথমার্ধে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি চট্টগ্রাম। বলের নিয়ন্ত্রণ বেশিরভাগটা সময় ছিল মোহনবাগানের দখলে। তবে স্বাগতিকদের ভাগ্য ভালো, এসময়টায় তেমন বিপদ ঘটাতে পারেনি মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে ম্যাচের প্রথম আক্রমণের ফায়দাটা নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৫২ মিনিটে মোহনবাগান ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন রতকোভিচ লুকা। তবে বল মেরেছেন গোলরক্ষকের গায়ে।
পরে ৬০ মিনিটে এসে ম্যাচের গোলহীন অবস্থা কাটান সুহাইর ভাদাকেপিদ্দিকা। চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়দের চমকে দিয়ে হঠাৎ এক শটে স্বাগতিক গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি তুলে নেন মোহনবাগান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৭০ মিনিটে দারুণ এক সম্মিলিত আক্রমণের ফল তুলতে পারেনি চট্টগ্রাম। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে মোহাম্মদ রকির বাড়ানো বলে বল পেয়েছিলেন দিদিয়ের চার্লস। চার্লস বল বাড়ান বদলী খেলোয়াড় ম্যাথিউর দিকে। ম্যাথিউ বল রাখতে না পেরে এগিয়ে দেন বদলি হিসেবে নামা অধিনায়ক জামালের দিকে। জামাল যেদিকে বল বাড়িয়ে দিলেন সেখান একজন খেলোয়াড় থাকলেই সমতায় ফিরতে পারতো চট্টগ্রাম।
আবার ৭৫ মিনিটেও এসেছিল গোলের সুযোগ। এবারও তা কাজে লাগাতে পারলেন না সোহেল রানা। বল পায়ে থাকলেও শট নিতে গিয়ে পড়ে যান মাটিতে। গোল আর পাওয়া হয়নি চট্টগ্রামের আকাশী-নীলদের।