জয়পুরের সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের কোলে মারা গেছে ২ বছরের ছোট চিন্নি। ওই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী ও সাংসদ হেমা মালিনী চাইলে বাঁচাতে পারতেন শিশুটিকে এমন দাবি করেছেন চিন্নির বাবা হর্ষ খান্দেলওয়াল ও তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার রাতে মথুরা থেকে জয়পুর যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার পর মাথায় আঘাত পাওয়া অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে স্থানীয় এক ডাক্তার দ্রুত জয়পুরের ফোরটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও রক্তাক্ত অবস্থায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাস্তায় পড়ে ছিলো অপর গাড়িতে থাকা চিন্নিসহ ৫ জন।
নিহত চিন্নি’র চাচা শিরিস গুপ্তা বলেন, দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এক চিকিৎসক দাউসার একটি হাসপাতালে অভিনেত্রী হেমা মালিনীকে দ্রুত নিয়ে গেছে। কিন্তু রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ছোট মেয়েটির দিকে কেউ ফিরেও তাকায়নি। হেমা মালিনী বা ওই চিকিৎসক তাদের সঙ্গে চিন্নিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেঁচে যেতে পারতো ছোট এই মেয়েটি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হর্ষ খান্দেলওয়াল বলেন, চিন্নি’র মা শিখা এখনো জানেনা যে তার মেয়ে আর বেঁচে নেই। চিন্নি’র মা পলি ট্রমাতে ভুগছেন।
তার ভাই’র স্ত্রী সিমা সোয়াই মেন সিং হাসপাতলে পলি ট্রমার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। আর ছেলে সোমিল আইসিউতে খুব গুরুতর অবস্থায় আছে।
খান্দেলওয়াল পরিবারের এক আত্মীয় জানান, তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ চান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয় বলেন, জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর গাড়ি রংসাইড দিয়ে চলছিলো বলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত চিন্নির বাবা হর্ষ খান্দেলওয়াল দাউসায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে হেমা মালিনীর গাড়ি চালক রমেশ চান্দ ঠাকুরের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ রমেশ চান্দকে গ্রেপ্তার করেছে।