গত ২২ অক্টোবর শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রম। মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে তোলা হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিনকে নিয়ে এবার পোষ্ট দিলেন শহীদ ডা. আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রম আর নেই। হেমায়েত বাহিনীর প্রধান এই বীর যোদ্ধার চোখের চিকিৎসা করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তার সাথে প্রথম দেখা এনআইওর একটি ক্যাম্পে, যেখানে একজন ভারতীয় ডাক্তার এসেছিলেন। আমি সেইখানে গেস্ট ফ্যাকাল্টি ছিলাম। (ছবিটা সেই দিনের) আমার পরিচয় পেয়ে পরবর্তীতে তিনি আমার চাকরিস্থল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকবার আমাকে দেখিয়েছেন। আমি প্রতিবারই এই বীরের উপস্থিতিতে তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি আর আমার ছাত্রছাত্রীদের দেখিয়ে বলেছি তিনি কে। তিনি তাদের তার চোয়ালের ক্ষত দেখিয়েছেন, সেই ঘটনা তাদের বলেছেন।
এরপর তিনি আবার লিখেছেন, এখনকার পাঠ্য বইয়ে তার নাম আছে কিনা জানি না। আমার ধারণা নেই, কারণ আমার একটা ছাত্রও বলল না যে তারা তাকে চেনে, বা তার বীরত্বের কথা শুনেছে। আমি চিনিয়ে দিয়েছি, বলেছি। জানি না আমার ছাত্ররা তা মনে রাখবে কিনা। যেদিন বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা স্বাধীনতা বিরোধীদের রেখে যাওয়া বইগুলো সংশোধন করবে পরিপূর্ণভাবে, সেদিন নিশ্চয়ই তার নাম সবাই পাঠ্যবইয়ে পড়বে, জানবে। আমার ছাত্রদের মতো অবাক, শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকবে না। আমাদের ইতিহাসের অকুতোভয় এই বীরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকতেই হবে।