সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হরহামেশাই নারীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। ফেসবুকের ইনবক্সে, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে কমেন্টে নারীদের অশালীন মন্তব্যের শিকার হতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী করা এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৬০% নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এমনকি অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের করা জরিপটিতে অংশ নিয়েছেন ২২টি দেশের ১৪০০০ হাজার নারী। তাদের বয়স ১৫ থেকে ২৫-এর মধ্যে।
জরিপে জানা গেছে, প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন নারী হেনস্তার শিকার হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, মাত্র আট বছর বয়সেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে তাদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীরা হেনস্তার শিকার হলেও এই ব্যাপারে প্রতিবাদ না জানিয়ে নীরব থাকেন, বললেন সংস্থাটির চিফ এক্সিকিউটিভ অ্যানি-বিরগিটে আলব্রেক্টসেন।
জরিপে দেখা গেছে, নারীদেরকে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করা হয় ফেসবুকে। ৩৯% নারী জানিয়েছেন, ফেসবুকে অশালীন মন্তব্যের শিকার হয়েছেন তারা, ইনবক্সে পেয়েছেন আপত্তিকর মেসেজ ও ছবি। এরপরেই এসেছে ইনস্টাগ্রাম (২৩%), হোয়াটসঅ্যাপ (১৪%), স্ন্যাপচ্যাট (১০%), টুইটার (৯%) এবং টিকটক (৬%)-এর নাম।
হেনস্তার শিকার হওয়ার পর মানসিক চাপে ভুগেছেন অধিকাংশ নারী, এমনটাই জানা গেছে জরিপে। এছাড়াও এক চতুর্থাংশ নারী জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন তারা।
এই জরিপটি করা হয়েছে পুরো বিশ্বের আইন নির্মাতা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে বিষয়টি জানানোর জন্য, যেন তারা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই বিষয়ে। -হিন্দুস্তান টাইমস