নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। কিন্তু স্কুলটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। আদৌ হবে কিনা, এ ব্যাপারেও কিছু জানেন না সংশ্লিষ্টরা। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যাপীঠে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জমান বলেন, ‘স্যারের মৃত্যুর পর স্কুলটির এমপিওভুক্তির জন্য বিভিন্ন দফতরে গিয়েছি, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। অথচ স্যারের মৃত্যুর পর শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি অচিরেই এমপিওভুক্ত করা হবে। কিন্তু এর বাস্তবায়ন এখনো হয়নি।’
হুমায়ুন আহমেদের ছোট চাচা আলতাফুর রহমান আহমেদ বলেন, ‘হুমায়ূন এলাকায় এসেই কীভাবে এলাকার মানুষের উন্নয়ন করা যায়, শিক্ষা বিস্তার করা যায়— সে বিষয়ে চিন্তা করত। কিন্তু আজ তার মৃত্যুর ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি অবহেলিত হয়ে আছে। এমপিওভূক্ত হয়নি। এটি বড়ই দুঃখজনক।’
এদিকে আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের জেএসসি ও এসএসসির ফলাফল খুবই ভালো। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এ প্লাস পেয়েছে।’
আজ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজ তার নিজ এলাকা নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় নানা আয়োজনে দিনটি পালন করা হয়েছে। উপজেলার কতুবপুরে ও কেন্দুয়ায় ‘হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদ’ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এতে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, হুমায়ূন আহমেদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র্যালি, স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া। এছাড়া স্থানীয় কয়েকটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের মাতুলালয় ও তার জন্মস্থান নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচির পালন করা হয়। হুমায়ূন আহমেদের মামা ও মোহনগঞ্জ পৌর সভার সাবেক মেয়র মাহবুবুন নবী শেখ বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে।’
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর মোহনগঞ্জে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন প্রখ্যাত এই লেখক।
ছবি: সংগৃহীত