কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে মিডিয়াতে এমন কিছু নক্ষত্র এসেছে যারা কিনা তার ছোঁয়ায় নিজেদের করেছেন আরো বেশি দক্ষ ও সমৃদ্ধ। হুমায়ূন আহমেদের নির্মিত নাটক, টেলিফিল্ম কিংবা চলচ্চিত্রে তেমনি কিছু তারকা বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন।
হুমায়ূন আহমেদ অাজ নেই তবুও যেনো প্রতিটি মুহূর্তে হুমায়ূন আহমেদের সেই জাদু ছোঁয়া মিস করেন। তাই আজো প্রিয় সেই মানুষটির কথা বলতে গিয়ে তাদের গলা ধরে আসে। এক কথায় জানিয়ে দেন প্রিয় মানুষটির সম্পর্কে।
হুমায়ূনের ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা হলো সেসব তারকাদের সঙ্গে যারা; এই মানুষটির সঙ্গে বহুদিন ধরে কাজ করেছেন, তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন।
জনপ্রিয় অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ, শাহরিয়ার নাজিম জয়, সঙ্গীতশিল্পী এসআই টুটুল, অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ বললেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে।
মাহফুজ আহমেদ:
হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, দুই দুয়ারী’ ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ। এমন গুণী একজন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে মাহফুজ বলেন, হুমায়ূন আহমেদ আমার কাছে লেখক বা নির্মিতা নয়। তিনি আমার পুরো অস্তিত্ব। আর এ জন্য তার সর্ম্পকে কোনো কথা বলতে পারি না আমি। ওনাকে আমার নিজের মধ্যে রাখতে পছন্দ করি। এক কথায় হুমায়ূন আহমেদ আমার কাছে আবেগের আরেক নাম। তিনি সবসময় আমার মননে আছেন এবং থাকবেন।
তানিয়া আহমেদ:
হুমায়ূন আহমেদের কথা বলতে গিয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ বলেন, স্যারের কথা কি বলবো, ওনি যে আমার কাছে এমন একজন মানুষ ছিলেন যার সবকিছুই আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। আমার একমাত্র অভিভাবক ছিলেন তিনি। তাকে হারিয়ে আজ আমি শূন্য। তবুও স্যারের কোনো কাজ এখনও করতে গেলে মনে হয় আশে-পাশে বসে আছেন তিনি। অাসলে তার কাজ করে যে মনে প্রশান্তি পেতাম এখন যেনো সেই প্রশান্তি পাই না।
শাহরিয়ার নাজিম জয়:
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে তেমনভাবে কাজ না করলেও খুব কাছ থেকে দেখেছেন অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। জয় তার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, হুমায়ূন আহমেদ স্যারের আদর ছিলো খুব সূক্ষ্ম। তিনি খুব ছোট ছোট আদর করতেন। আমাকে সবসময় বলতেন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। স্যার আমেরিকা যাওয়ার আগে চ্যানেল আইয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি নাটক লিখে গিয়েছিলেন। তিনি যাওয়ার পর জানতে পারি ওই নাটকটির প্রধান চরিত্রে তিনি আমাকে অভিনয় করতে বলেছেন। সত্যিই এটিই ছিলো আমার জীবনের সেরা পুরস্কার।
এসআই টুটুল:
নাটক বা সিনেমায় কাজ না করলেও হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গীত পরিচালনা করতেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এসআই টুটুল। তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদের প্রধান গুণ হলো তিনি মানুষকে কাজ করার স্বাধীনতা দিতেন। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো কিছুই বলতেন না।
তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যার কাছে কিনা যে কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে এক মিনিটে তা সমাধান করে দিতেন। স্যার চলে যাওয়ার পর এই জিনিসটি আমি ও তানিয়া খুব মিস করি। শুধু আমি নই মিডিয়াতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কিনা হুমায়ূন স্যারকে প্রতিটি সময় মনে করেন। কারণ ওনি ছিলেন সবার নির্ভরতার একটি জায়গা। যার কাছে গেলে আসলে পরম শান্তি পাওয়া য়ায়।