চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হুমায়ুন ফরীদির ৬৩তম জন্মদিন আজ

বন্ধু আফজাল হোসেনের সাহস ও উৎসাহে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করেন। আফজাল হোসেন বন্ধুর কথা ভেবে পর পর অনেক নাটক লেখেন। বলছি মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির কথা। আজ তার ৬৩তম জন্মদিন। ১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

৯০ দশকে তানভীর মোকাম্মেলের ‘হলিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। চলচ্চিত্রে তার জনপ্রিয়তা ছিলো আকাশ তুঙ্গে। চলচ্চিত্রে নায়ক ছাড়াও খলনায়কে সবার মন জয় করা যায় তার জলন্ত প্রমান তিনি দিয়ে গেছেন। খলনায়ক চরিত্রে তিনি বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন। ‘ভন্ড’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘বিশ্বপ্রেমিক’,‘ মায়ের মর্যাদা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘সন্ত্রাস’, সিনেমাগুলো উল্লেখযোগ্য।

চলচ্চিত্রের আগে হুমায়ুন ফরীদি মঞ্চ ও টেলিভিশনেও সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। টেলিভিশনে অত্যন্ত দাপুটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। টিলিভিশনে অভিষেক ঘটে আতিকুল হক চৌধুরীর মাধমে। সেলিম আল দীনের রচনায় নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নির্দেশনায় ধারাবহিক নাটক ‘ভাঙ্গনের শব্দ শুনি’ দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন শক্তিমান এই অভিনেতা।

টেলিভিশেনে তার উল্লেখযোগ্য ‘নীল আকাশের সন্ধানে’, ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’,‘সংশপ্তক’, ‘কোথাও কেউ নেই’, কাছের মানুষ’, ‘বিষ কাটার মতো’ অসাধরণ নাটকে তিনি অভিনয় করেন। তবে ‘সংশপ্তক’ নাটকে কান-কাটা রমজানের চরিত্রের তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন সবার মাঝে।

অভিনয় করতে গিয়ে জীবনকে বেশি সময় দেয়া হয়নি তার। ২০১২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি অনবদ্য এ অভিনেতা চলচ্চিত্র অঙ্গণের সবাই এবং তার ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। তবে তার সৃষ্টি আর অভিনয় শৌলিতে ভক্তদের মাঝে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।