মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে হিলারির ইমেইল ইস্যুতে উত্তপ্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। চলছে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ। এমন পরিস্থিতে পেনিসিলভানিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা ও ওহাইওতে প্রচারাভিযানের সময় রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভীতিপ্রদর্শন ও নজরদারির অভিযোগ করেছে ডেমোক্রেট কর্মকর্তারা। মামলা করেছেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
সংখ্যালঘু ভোটারদের হয়রানির পরিকল্পনার অভিযোগে চারটি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেন ডেমোক্রেটিক পার্টির কর্মকর্তারা। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিজেদের প্রত্যাহারের ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। সেই সাথে নতুন ইমেইল তদন্তে এফবিআইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। ইমেইল তদন্ত নিয়ে খোদ এএফবিআইর কর্মকর্তারাই আবার দ্বিধাবিভক্ত। এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক টানাপড়েন।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি বিশ্বাস করেন, হিলারির ইমেইলের আরো প্রচুর তথ্য এফবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসবে। এর মাধ্যমে হিলারির মুছে ফেলা ৩৩ হাজার বার্তা উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।
ইমেইল তদন্তে এফবিআইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন,এফবিআই যদি সত্যিই তদন্ত করতে চায়, তবে তাদের উচিত এর সাথে জড়িতদেরও তদন্তের আওতায় নিয়ে এসে সত্যকে প্রকাশ করা।
এফবিআই’র নতুন করে শুরু করা এই তদন্তের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আর্নেস্ট জস জানিয়েছেন,হিলারির ইমেইল নিয়ে এফবিআই এর পুনরায় তদন্তের ঘোষণায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি যেসব বার্তা ব্যক্তিগত সার্ভারে আদানপ্রদান করেছিলেন, সেসব এসব তথ্য তদন্ত করতে সপ্তাহখানেক বা তার বেশি সময়ও লাগতে পারে। তবে নির্বাচনের এ সময়ে সব তথ্যের নির্ভুল তদন্ত কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত এফবিআই কর্মকর্তারাই।
এদিকে এনবিসি নিউজ ও সার্ভে ট্র্যাকিং এর জরিপ অনুযায়ী ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ৬ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন,হিলারির ইমেইল তদন্ত নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে, এমনকি হিলারির পরাজয়ও ডেকে আনতে পারে। অন্যদিকে জয়ী হলেও ক্ষমতার মেয়াদের শুরুটা বেশ জটিল হয়ে উঠতে পারে হিলারির জন্য।