হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়ি যাচ্ছে হাতে বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলো মুক্তামনি।
মুক্তামনির বাবা ইবরাহিম হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, আজ সকাল ৭ টার দিকে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছি। এখনো পথেই আছি। কখন পৌঁছাবো বলতে পারি না। ফেরি পারাপারে দেরি হতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তারা সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
একমাস পরে আবার তাকে আবার চিকিৎসকরা ঢাকা আনতে বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই সময়ে কিছু ওষুধ দিয়েছেন ডাক্তাররা, মলম লাগাতে দিয়েছেন আর প্রেসার ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন। বিশেষ করে আর কিছু না বললেও একটু দেখেশুনে রাখতে বলেছেন ডাক্তাররা।
স্ত্রী আর ছেলের সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি। মুক্তামনির জন্য সবার কাছে দোয়া চান মুক্তামনির বাবা।
সাতক্ষীরার মেয়ে মুক্তামনির দেহে জন্মের দেড় বছর পর একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর সেটি গাছের গুঁড়ির রূপ নিয়ে বড় হতে হতে ডান হাত শরীরের চেয়ে ভারি হয়ে উঠে। তার এই বিরল রোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়।
১১ জুলাই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামণির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। ১২ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ।