গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৮শ’ ৭০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি। বাড়তি ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর হাসপাতালগুলো। প্রতিদিনই রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
জ্বর কমে গেলেও আশঙ্কামুক্ত নন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর পরবর্তী সময়েও রোগীর নিয়মিত ফলোআপ প্রয়োজন।
সচেতনতার অভাবে অনেকেই তা করছেন না। আক্রান্ত হওয়ার পরও হাসপাতালে আসতে বা ডেঙ্গু কি না তা পরীক্ষা করতেও দেরি করছেন অনেক রোগী।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত স্ত্রী মারা গেলেও শিশু সন্তানকে বাঁচাতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে বাবা শফিকুল ইসলাম।
চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্তদের একবার প্লাটিলেট দেয়ার পর তা বাড়া বা কমার বিষয়টি স্থির হতে তিন দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এর আগে রবিবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শাহাবুদ্দিন কোরেশীর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীও ইতোমধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও বেসরকারি হিসাবে ডেঙ্গুজ্বরে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ।