দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মা মাছে ডিম ছেড়েছে। তবে ডিমের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ বলে জানান সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ দল। এর জন্য হালদা নদী দূষণ, মা মাছ নিধন এবং পরিবেশ প্রতিকূলতাকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্চ এপ্রিল মাসে যখন বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টি হয় এবং পাহাড়ি ঢল নামে তখন প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছে ডিম ছাড়ে। কিন্ত গত ২/৩ মাসে এই পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় ডিম ছাড়েনি মা মাছ। গত পরশু সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে বজ্রসহ প্রবল বৃষ্টি হলে গতকাল হালদা নদীতে পাহাড়ী ঢল নামে।
এতে সকাল থেকে নমুনা ছাড়ে মা মাছ। গত রাতে পূর্ণাঙ্গভাবে ডিম ছাড়লে সারা রাতব্যাপী জেলেরা খলিফার ঘোনা, রামদাশ মুন্সির হাট থেকে মদুনাঘাট পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করে।
এখন চলছে সংগৃহীত ডিম থেকে ১‘শ ৩৩টি সরকারী হ্যাচারী ও ১‘শ ৪১টি মাটির কুয়াতে রেন্যু উৎপাদনের কর্মযজ্ঞ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ৭ হাজার কেজি।
তারা জানান: মা মাছ নিধন, ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন, পাথরের ব্লক নির্মাণ, নদী দূষণ ও পরিবেশের বিরূপ প্রভাবসহ নানা কারণে দিনকে দিন ডিমের পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং হালদা নদী ধংস হচ্ছে।