দিলারা জামান। পর্দায় যার উপস্থিতি সবসময়। কখনও মমতাময়ী মা অথবা শাশুড়ি, চাচি, দাদি, নানিসহ বিভিন্ন রকম চরিত্রে যিনি দর্শক মনে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তৌকির আহমেদের পরিচালনায় আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে দিলারা জামানের অভিনীত ছবি ‘হালদা’। ছবিতে নিজের চরিত্র এবং সার্বিক বিষয়ে তিনি কথা বললেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে।
কেমন আছেন?
ভালো আছি।
‘হালদা’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন ছিল?
আমি হালদায় কাজ করেছি। সেখানে একজন শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবিতে আমি জাহিদ হাসানের মা। সেই পরিবারের বড় বউ রুনা খান। কিন্তু তার কোন সন্তানাদি না হওয়ায় বংশরক্ষার জন্য পরে তিশাকে বিয়ে করে আনা হয়। কিন্তু আমার মাঝে যে একটা নারীবাদী মন এবং একটা আলাদা অস্তিত্ব আছে সেটা ছবির শেষে বোঝা যায়। এভাবেই আসলে ছবির কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে।
আপনি বললেন ‘নারীবাদী মন’ এটা কেমন?
আমাদের মেয়েদের আসল নামটা বেশিরভাগ সময়ে হারিয়ে যায় বা ঢাকা পড়ে যায়। এই যেমন অমুকের স্ত্রী, মা, শাশুড়ি, চাচি এমন টাইপের। এককথায় আমাদের আপন নামটা হারিয়ে গিয়ে পোশাকি নামটা বেশি সামনে চলে আসে। ‘হালদা’ ছবির শেষের দিকে ছেলের বউ তিশার কাছে আমার আকুল আবেদন ‘আমাকে ওই নামে ডাকো বউ, ওই নামে’।
‘হালদা’ তো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় করা, সেজন্য কি কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়েছে?
হ্যাঁ, প্রস্তুতি তো নিতেই হয়েছে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা শিখেছি এজন্য। আমাদের অনেকের জন্য এটা একটু কঠিন-ই ছিল। কিন্তু আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি ‘হালদা’য় ওই ভাষায় কথা বলতে।
‘হালদা’ টিমের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ভীষণ ভালো। পুরো টিমটা অসাধারণ। আমাদের সঙ্গে মোশাররফ করিমও কাজ করেছেন। ছবির পরিচালক তৌকির আহমেদও বেশ সুন্দর ধরে ধরে কাজ করেন।
‘হালদা’ ছবিতে কি দর্শকদের জন্য কোনো বিশেষ বার্তা থাকছে?
অবশ্যই। চট্টগ্রামের ‘হালদা’ নদী তো প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। কিন্তু আমরা সময় না বুঝে সেখানে মাছ নিধন করি। যেটা আমাদের জন্যই ক্ষতিকর। ছবিতে তিশার সুন্দর একটা ডায়ালগ আছে যার মধ্যে দিয়ে পুরো বিষয়টি অনেকটা ফুটে ওঠে। তা হলো- ‘এটা তো মা মাছ, এটা হালদা মাছ, এটা আমি চিনি।’
চ্যানেল আই অনলাইনকে সময় দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ
তোমাকেও ধন্যবাদ।