ওভাল, লন্ডন থেকে: ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের হার দিয়ে শুরু হল বাংলাদেশের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন। ‘এ’ গ্রুপের হাই-স্কোরিং ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩০৫ রান তুলেছিলো টাইগাররা। জবাবে জো রুটের সেঞ্চুরি, হেলস ও মরগানের দুই হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৬ ডেলিভারি হাতে রেখেই ইংলিশরা পায় সহজ জয়।
তামিম ও সৌম্যর ৫৬ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপে বাংলাদেশের শুভসূচনা। সৌম্য ২৮ রানে আউট হওয়ার পর তামিমের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের পার্টনারশিপটা জমেনি। ৯৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল টিম টাইগার্স। চাপমুক্তি তৃতীয় উইকেটে তামিম ও মুশফিকের ১৬৬ রানের পার্টনারশিপে। ছক্কা মেরে হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া তামিম ক্যারিয়ারের নবম ওডিআই সেঞ্চুরি করেন ১২৪ বলে। শাহরিয়ার নাফীসের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসাবে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এই বাঁহাতি হার্ডহিটার, ১৪২ বলের ইনিংসে ৩ ছক্কায় করেন ১২৮।
৪৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো মুশফিক আউট হয়েছেন ৭৯ রানে। ইংলিশ পেসার প্ল্যাঙ্কেট একই ওভারে প্রথমে তামিম এবং পরে মুশফিককে বিদায় করতেই রানের চাকার গতি হারায় বাংলাদেশ।
শেষ ১০ ওভারে ৮২ রান যোগ করা বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ৩০৫, ওভালের ব্যাটিং প্যারাডাইজে বড় স্কোর, তবে নিরাপদ নয়।
ইংলিশ ইনিংস শুরুতেই জোর ধাক্কা খায় মাশরাফির বলে ওপেনার জেসন রয়ের বিদায়ে। লাল-সবুজ গ্যালারির উত্তেজনা থামিয়ে দেয় হেলস ও রুটের ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ। এই পার্টনারশিপ গড়ে দেয় ম্যাচের নিয়তি।
হেলস পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। তবে অধিনায়ক মরগানের ফিফটি ও জো রুটের দশ নম্বর সেঞ্চুরিতে নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের জয়। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে রুট অপরাজিত ১৩৩ রানে, কাপ্তান মরগানের সংগ্রহ ৭৫।
৫ জুন একই ভেন্যুতে ওয়ানডের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরের ম্যাচ।