‘ম্যায় হু না’ খ্যাত বলিউডের অভিনেতা জায়েদ খানকে ২০১১ সালে ‘লাভ ব্রেকআপস জিন্দেগী’ ছবিতে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল। এরপর বলিউড থেকে যেন একদম হারিয়ে গিয়েছেন তিনি। খুব শীঘ্রই সনি টিভির ‘হাসিল’ এর মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক ঘটবে এই তারকার। রণবীর রাইচাঁদ এর ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি একসময়ে বলিউডের পর্দা কাঁপানো তারকা সঞ্জয় খান এবং জেরিন খানের ছেলে জায়েদ খান সম্প্রতি কথা বলেছেন বলিউড থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।
বড় পর্দা থেকে টেলিভিশনে কেন?
পরিকল্পিত ভাবে কিছু হয়নি। একদিন সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রা ফোন দিয়ে বললেন ‘তোমার জন্য একটা কিছু আছে।’ কিন্তু তিনি যখন জানালেন এটা টেলিভিশনের জন্য, তখন আমি চুপ ছিলাম। কিন্তু তিনি আমাকে একবার হলেও গল্পটা শুনতে বললেন। কনসেপ্টটা আমার পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু আমি বললাম, যেভাবে গল্পটা লেখা হয়েছে সেভাবেই যদি তৈরি হয় তাহলে আমি কাজ করবো। তিনি আমার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন।
পাকা চুলের চরিত্রের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক নিয়ে কি উদ্বিগ্ন ছিলেন?
প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পেছনের কারণ হয়ে উঠেছিল রণবীর রাইচাঁদ চরিত্রটি। খুবই জটিল চরিত্র এটি। তিনি একই সঙ্গে বিচক্ষণ, স্মার্ট, হিসেবি এবং পরিবারের খুঁটি। তিনি না ভেবে কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। এটা একজন প্রবীণ ব্যক্তির চরিত্র হলেও খুব মজার। চরিত্রটি মোটেও বিরক্তি সৃষ্টি করবে না এবং নতুনভাবে নিজেকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। আর একসঙ্গে সবাইকে তো খুশি রাখা যায়না।
টিভি দেখা হয়?
এই শো-তে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে টিভি দেখার চেষ্টা করেছিলাম। ছোট পর্দার সাথে নিজেকে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করছিলাম। তবে ‘হাসিল’ একটু আলাদা এবং এটার শুটিং সিনেমার মতো করেই করা হয়েছে। গত তিন-চার বছর ধরে এই চরিত্রে যেসব অভিনেতারা অভিনয় করেছেন তাঁদেরকে সম্মান জানাই। সিনেমার ক্ষেত্রে শৈল্পিকতা ফুটিয়ে তোলার জন্য অনেক সময় এবং সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু টিভিতে অনেক সুযোগই নেই।
বড় পর্দা থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন কেন?
যেসব চরিত্রের প্রস্তাব পাচ্ছিলাম সেগুলো পছন্দ হচ্ছিল না। আর কাউকে দোষারোপ করতে চাইনা এ ব্যাপারে। ক্যারিয়ারে যতটা গুরুত্ব দেয়া দরকার ছিল, ততটা দেইনি। আমি ভক্তদের মন জয় করতে আবার ফিরে আসছি। সামাজিক মাধ্যমেও আমি জানিয়ে দিয়েছি যে ভক্তদের কারণেই আমি আবার ফিরেছি। -স্পট বয়।